জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান দেখে মুহূর্তে ব্রয়লার মুরগির দাম কমে হয়ে যায় ২০০ টাকা কেজি। অভিযান শুরুর আগে দাম ছিল ২১০–২২০ টাকা। মুহূর্তেই সেই দাম কমে যায় অভিযানের খবরে।
এটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের মুরগির আড়তে। এ বাজারে আজ দুপুরে অভিযানে যান ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল। এ সময় মুরগির আড়তের পাশাপাশি নিত্যপণ্যের দোকান ঘুরে দেখেন অভিযান পরিচালনাকারী দলের সদস্যরা। এ সময় তাঁরা মুরগির একটি আড়তের মূল্যতালিকায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৯০ টাকা টাঙানো দেখতে পান। মূলত অভিযান শুরুর পরই এ তালিকা সংশোধন করা হয়।
জানতে চাইলে আবদুল জব্বার মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, অভিযানকালে মুরগি বিক্রেতাদের নথিপত্রে দেখা গেছে, অনেক ব্যবসায়ী পাইকারিতে ১৭০ টাকায় মুরগি কিনেছেন। তাতে দাম ২০০ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। বেশির ভাগ বিক্রেতা ২০০ টাকা কেজিতে মুরগি বিক্রি করেছেন আজ। একজন বিক্রেতা ২১০ টাকা কেজিতে মুরগি বিক্রি করায় তাঁকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বাজারে মুরগির দাম কমছে উল্লেখ করে আবদুল জব্বার মণ্ডল আরও বলেন, ‘অভিযানের সময় আমরা এটাও দেখেছি যে দু-একজন বিক্রেতা ১৯০ টাকা কেজিতে ব্রয়লার মুরগি বিক্রির জন্য মূল্যতালিকা টাঙিয়ে রেখেছেন। আমরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জেনেছি, পাইকারিতে মুরগির দাম বেশ কমেছে।’
এদিকে অভিযানের আগে কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০–২২০ টাকায় বিক্রি করছিলেন বিক্রেতারা। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৩২০–৩৪০ টাকায়। তখন অবশ্য অভিযানের কথা জানতেন না বেশির ভাগ ব্যবসায়ী। পরে যখন তাঁরা দেখেন বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে এসেছেন, তখন তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে এ দাম কমিয়ে দেন। অভিযান শেষে বিকেলে আবারও এ বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযানের সময় যে দাম কমানো হয়েছিল, সে দামেই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি মুরগি।
এদিকে আজ সকালে রাজধানীর মহাখালী ও মগবাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেজি প্রতি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০–২৩০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হয় ৩৩০–৩৪০ টাকায়। মুরগি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম কমলেও বেচাবিক্রি কম।