ডলার-সংকটে দেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে চাহিদার ওপর ভিত্তি করে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমন প্রেক্ষাপটে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকার (এমসিসিআই) নেতারা। তাঁরা বলেছেন, পণ্য আমদানি ও রপ্তানিকারকের ক্ষেত্রেও ডলারের পৃথক দর হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন এমসিসিআইয়ের নেতারা। গতকাল বুধবার এমসিসিআইয়ের সভাপতি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে চেম্বারটির একটি প্রতিনিধিদল গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন চেম্বারের সহসভাপতি কামরান টি রহমান, হাবিবুল্লাহ এন করিম, পরিচালক সৈয়দ তারেক মো. আলী, রুবায়েত জামিল, নিহাদ কবির, আনিস এ খান, সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর প্রমুখ। এমসিসিআইয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
এমসিসিআইয়ের সভাপতি সাইফুল ইসলাম গভর্নরকে বলেন, রপ্তানি প্রত্যাবাসন কোটায় (ইআরকিউ) ডলার ধারণের সীমা অর্ধেকে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে রপ্তানি খাতে প্রভাব পড়বে। এ বিষয়ে গভর্নর ব্যবসায়ীদের জানান, ডলারের ঘাটতির কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাময়িকভাবে সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বরের পর এটি থাকবে না।
এমসিসিআই নেতারা গভর্নরকে দেশের পণ্য রপ্তানি আয় বাড়ানোর জন্য কম সুদে ঋণ দিতে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ থেকে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর অনুরোধ করেন। এ সময় গভর্নর ইডিএফ থেকে ডলারে ঋণ নেওয়ার পর তা টাকায় পরিশোধের বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটি যেকোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে।