রোজায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে চার পণ্যের শুল্ককর কমিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর। এই শুল্কছাড়ের কারণে সরকার ৭০০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর সদস্য মাসুদ সাদিক।
আজ বৃহস্পতিবার ২০২৪–২৫ অর্থবছরের চট্টগ্রামে প্রাক্–বাজেট আলোচনায় এক ব্যবসায়ীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু হলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ।
সভায় চট্টগ্রাম ফ্রেশ ফ্রুটস ভেজিটেবল এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুব রানা বলেন, রোজার নিত্যপণ্যে শুল্ককর কমানো হয়েছে। তবে চিনিতে কেজিপ্রতি মাত্র ৬০–৭০ পয়সা কমেছে। তাই চিনিতে অন্তত সয়াবিন ও পাম তেলের মতো সাত–আট টাকা শুল্ককর কমানোর অনুরোধ জানান তিনি।
জবাবে এনবিআর সদস্য মাসুদ সাদিক বলেন, শুল্ককর কমানোর কারণে এনবিআরের ৭০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় কমবে। অতীতে কখনো শুল্ককর কমানোর পর দাম কমতে দেখেছেন? এমন পাল্টা প্রশ্নও ছুড়ে দেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমও। তিনি বলেন, চিনি বেশি খাবেন না। চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ক্ষতিকর। চিনির কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। শরীরের জন্য যেটুকু চিনি দরকার, তা অন্য উৎস থেকে পাওয়া যায়। তেলও বেশি ক্ষতিকর।
৭ ফেব্রুয়ারি তেল, চিনি, খেজুর ও চালে শুল্ককর কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। নতুন হারে শুল্কায়নের পর দেখা যায়, প্রতি কেজি চিনিতে শুল্ককর কমেছে ৬৮ পয়সা। তেলে শুল্ককর ও উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট কমেছে কেজিপ্রতি সাত থেকে আট টাকা। সাধারণ মানের খেজুরে কেজিপ্রতি ৩৩ টাকা ও উন্নত মানের খেজুরে ৫৪ টাকা শুল্ককর কমেছে। এনবিআর শুল্ককর কমানোর পরও বাজারে এখন পর্যন্ত এসব পণ্যের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি।