বিশ্বব্যাংকের কাছে বিভিন্ন সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে সংস্থাটির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচনা চলছে। অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সোজাসুজি বলা হয়েছে, সহায়তার জন্য যেসব শর্ত দেওয়া হবে, সেগুলো যেন বাস্তবায়নযোগ্য হয়।
আজ মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অনেক সময় তারা এমন শর্ত দেয়, যেগুলো ঠিক বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এর ফলে সহায়তাও আটকে যায়। তা যেন না হয়, সে জন্য বিশ্বব্যাংককে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, এমন শর্ত দেওয়া হোক, যেগুলো বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে পারবে।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার এক মাসের মাথায় বিশ্বব্যাংকের কাছে বাজেট সহায়তা চেয়েছে। প্রায় ১০০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা চেয়ে বিশ্বব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ মূলত জ্বালানি খাতে খরচ করা হবে। ২ কিস্তিতে ৫০ কোটি ডলার করে এই অর্থ চেয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
এ ছাড়া আর্থিক খাত সংস্কারে বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ডলারের ঋণসহায়তা দেওয়ার কথা বিশ্বব্যাংকের। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের পর্ষদে এই ঋণ অনুমোদিত হওয়ার কথা। তবে ঋণ পেতে তিনটি শর্ত পালন করতে হবে বাংলাদেশকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বেসরকারি খাতে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গঠন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে খেলাপি ঋণের নতুন সংজ্ঞায়ন করা ও নবগঠিত টাস্কফোর্সের নিরীক্ষা কার্যক্রমের বিবরণী বিশ্বব্যাংকের কাছে পেশ করার শর্ত মানতে হবে বাংলাদেশকে।
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংস্কার কার্যক্রমের জন্য সহায়তা দরকার। দরকার তাৎক্ষণিক বাজেট সহায়তা। সেই সঙ্গে দরকার কারিগরি সহায়তা। তারল্য সহায়তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, আলোচনা ‘মোটামুটি’ ইতিবাচক হয়েছে। তাঁরা উন্মুক্ত মন নিয়েই আলোচনা করতে এসেছিলেন, আরও আলোচনা হবে। তবে আলোচনার মূল নজর ছিল সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন নিয়ে।
বাজেট সহায়তার প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এ বছর আমরা বাজেট সহায়তা প্রত্যাশা করছি; এর আওতায় কী প্রকল্প হবে, ইতিমধ্যে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’