দেশের রপ্তানি আয়ের তুলনায় আমদানি ব্যয় বেশি হওয়ায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাসেই বড় অঙ্কের বাণিজ্যঘাটতি হয়েছে। গত জুলাইয়ে এই বাণিজ্যঘাটতির পরিমাণ ছিল ৬৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় প্রতি ডলারের দাম ১১০ টাকা ধরে হিসাব করলে স্থানীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৬ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা।
আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে ৪৩৫ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ সময় আমদানি হয়েছে ৪৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলারের পণ্য। ফলে অর্থবছরের প্রথম মাসেই ৬৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বাণিজ্যঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ।
দেশে ডলারের সংকট ও অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে এই মুদ্রা আগের তুলনায় শক্তিশালী হওয়ার কারণে ডলারের দাম বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বড় পরিমাণ ডলার বাজারে ছেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে নানা উপায়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাও করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত বছর থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে নানা ধরনের শর্ত দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে তুলনামূলক কম প্রয়োজন বা বিলাসী পণ্যের ঋণপত্র বা এলসি খোলা কমানো হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ এলসি মার্জিনও দিতে হচ্ছে। বড় এলসি খোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক তদারকি বাড়িয়েছে। এরপরও আমদানির তুলনায় রপ্তানি কম হওয়ায় বাণিজ্যঘাটতি কমছে না।
গত অর্থবছরের পুরো সময়েও বেশ বড় অঙ্কের বাণিজ্যঘাটতিতে ছিল বাংলাদেশ। ১ হাজার ৭১৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বাণিজ্যঘাটতি নিয়ে গত ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষ হয়েছিল। জুলাই মাসেও বাণিজ্যঘাটতি থাকার কারণে নতুন অর্থবছরের শুরুতেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রইল।