চামড়া খাতকে শক্তিশালী করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে নতুন তিনটি চামড়াশিল্প নগরী স্থাপন করবে সরকার। ইতিমধ্যে সে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়া যশোর জেলার রাজারহাটে আরেকটি চামড়াশিল্প নগরী স্থাপনের লক্ষ্যে ৫০ একর জমি প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এতে তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) সঙ্গে বৃহৎ শিল্পের সংযোগ বাড়াতে সাব–কন্ট্রাক্টিং আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) সাব-কন্ট্রাক্টিং সাপোর্ট প্রোগ্রামের অধীনে ২০০৯–১০ অর্থবছর থেকে চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ৭৮৫টি বৃহৎ শিল্পকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।’
দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়েও সরকারের পরিকল্পনার কথা জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ে গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, চাঁদপুর ও পাবনায় প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে দেশের ২৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২০০টির বেশি কোম্পানিকে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব কোম্পানির প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার।
এর মধ্যে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ হয়েছে ৫৫০ কোটি ডলার। বর্তমানে এসব অঞ্চলে ৪৩টি প্রতিষ্ঠান উৎপাদনে আছে। আরও ৭০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণাধীন রয়েছে।
এ ছাড়া কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক ও নাফ ট্যুরিজম পার্ক এবং সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ককে পর্যটকবান্ধব করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।