গাজায় পারিবারিক ব্যয় ৬০% পর্যন্ত কমেছে

সানেম
সানেম

বোমা হামলার কারণে গাজার মানুষের পারিবারিক ব্যয় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ লুই আরক্যঁর গতকাল শুক্রবার তিন দিনব্যাপী সানেমের সপ্তম অর্থনীতিবিদ সম্মেলনের কিনোট সেশন বা মূল বক্তব্য উপস্থাপনায় এই তথ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে তিন দিনের সম্মেলন শুরু হয়েছে।

জ্যঁ লুই আরক্যঁর ‘ইকোনমেট্রিকস ফ্রম দ্য স্কাই’ শিরোনামের উপস্থাপনায় দেখান, কীভাবে দূর থেকে পাওয়া ডেটা বা তথ্য-উপাত্ত উন্নয়নবিষয়ক গবেষণায় কাজে লাগানো যায়। সেটা হলো, কোনো অঞ্চলে রাত্রিকালীন আলোর মাত্রা দেখে নির্ধারণ করা সেখানকার অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন।

জ লুঁই আরসান্ড গাজার ওপর ইসরায়েলের বোমা হামলার অর্থনৈতিক প্রভাব নিরূপণ করতে এই রাত্রিকালীন আলোর মতো দূর থেকে পাওয়া উপাত্ত ব্যবহার করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, ইসরায়েলে গাজার অব্যাহত বোমা হামলার জেরে সেখানকার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এতে সেখানকার বিভিন্ন অঞ্চলের পারিবারিক ব৵য় ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ কমেছে।

এই অধিবেশন সঞ্চালনা করেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জ্যঁ লুই আরক্যঁর কাজের প্রশংসা করে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে এই গবেষণা প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। তিনি আরও বলেন, এই পদ্ধতিতে উপাত্ত সংগ্রহে বাধা নেই, এটা একধরনের উন্মুক্ত উৎস; ঠিক যেমন ইন্টারনেট একধরনের উন্মুক্ত উৎস হিসেবে আমাদের সামনে হাজির হয়েছিল। এটা গবেষণার গণতন্ত্রায়ণ ঘটাবে। তিনি আরও বলেন, রাত্রিকালীন আলো সব ক্ষেত্রে ভালো নয়।

জ্যঁ লুই আরক্যঁর বলেন, আন্তর্জাতিক আদালত এই গবেষণার ফলাফল আমলে নেবেন কি না, সেটা রাজনৈতিক বিষয়। এ বিষয়ে তাঁর বেশি কিছু বলার নেই।

তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের আজ দ্বিতীয় দিন। দিনের বিভিন্ন অধিবেশনে আজ আলোচনা করবেন অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো রওনক জাহান।