দেশের অর্থনীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠক

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেকে
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেকে

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঢাকা কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পিটার হাস তাঁর ঢাকার গুলশানের বাসায় আজ বুধবার দুপুরে এক মধ্যাহ্নভোজ সভার আয়োজন করেন। সভায় বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিস্থিতি—এসব নিয়ে আলোচনা হয়। দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক, ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সোলেইমান সৌলিবালি ও জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হ্যাভেন এবং আইএমএফের ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান জয়েন্দু দে সভায় অংশ নেন।

বৈঠক সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের শেয়ারধারীসহ আমাদের অংশীজনদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের অংশ হিসেবে আজ বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পিটার হাসের আমন্ত্রণেই বৈঠকে অংশ নিয়েছি। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করেছি। টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে বিশ্বব্যাংক অঙ্গীকারবদ্ধ।’

দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এটি একটি নিয়মিত বৈঠক। এর আগেও এমন বৈঠক হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের ঢাকা কার্যালয়ের প্রতিনিধিদের এই মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সভায় বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অন্যতম বড় দুই উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এমন এক সময়ে বৈঠক করলেন, যখন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত অবস্থায় আছে। হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি চলছে, যা অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে।

জানা গেছে, বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে দেশে মোট ৫৫টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পে ১ হাজার ৫৬৯ কোটি ডলার দিচ্ছে বহুজাতিক সংস্থাটি। অন্যদিকে আইএমএফ বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ডলারের মতো ছাড় হয়েছে। আগামী মাসে পরের কিস্তি ছাড় হতে পারে।