শীত এলে স্কুল–কলেজ ছুটি হয়। তখন কক্সবাজার, কুয়াকাটা, শ্রীমঙ্গল, জাফলংসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকা ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন ভ্রমণপিপাসু মানুষ। আর এই শীতেই ভ্রমণপিপাসু মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের জন্য দুঃসংবাদ দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) নেই, এমন হোটেলে মূল্য সংযোজন বা ভ্যাট বাড়িয়েছে। তুলনামূলক কম দামের এসব হোটেলে সাধারণত মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ রাত্রী যাপন করেন।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার এ–সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। অধ্যাদেশ দুটি হলো মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫। এই দুটি অধ্যাদেশ জারির প্রেক্ষাপটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ গতকাল এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। এর ফলে এই অধ্যাদেশের পরিবর্তনগুলো সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে গেছে।
এত দিন নন–এসি হোটেলে রাত্রীযাপনে ভ্যাট ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। এখন সেটি বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। তার মানে আগে হোটেলে রাত্রীযাপনের ভাড়া ১ হাজার টাকা হলে ভ্যাট দিতে হতো ৭৫ টাকা। এখন সেই ভ্যাট দিতে হবে ১৫০ টাকা। তার মানে ভ্যাটের খরচ দ্বিগুণ বাড়ছে।