টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে পরিবেশ-প্রতিবেশ ও শিল্পায়নের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। দেশের অনেক উদ্যোক্তা পরিবেশবান্ধব শিল্প স্থাপন করলেও তাঁদের মুনাফায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। এ জন্য পরিবেশবান্ধব শিল্প স্থাপনে উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে সরকারি প্রণোদনা প্রয়োজন।
রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল শনিবার আয়োজিত এক কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন। প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততার সুযোগ বিষয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করে আরণ্যক ফাউন্ডেশন।
নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব কারখানা স্থাপন করে সামাজিক স্বীকৃতি পেয়েছি। কিন্তু ব্যবসার মুনাফার ক্ষেত্রে কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি।
বরং উৎপাদনের খরচ বেড়েছে। এমন পরিস্থিতি ব্যবসাকে কঠিন করে তুলেছে।’ এ জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে উদ্যোক্তাদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা দেওয়ার দাবি করেন তিনি। এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেনও একই দাবি জানান।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও প্রণোদনা খোঁজার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউএসএআইডির ইকোনমিক গ্রোথ কার্যালয়ের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিশেষজ্ঞ শাহাদাত হোসাইন। তিনি বলেন, তাপমাত্রা বাড়লে কিংবা উপকূলীয় অঞ্চল প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্লাবিত হলে ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ইউএসএআইডি বাংলাদেশের ইকোনমিক গ্রোথ কার্যালয়ের পরিচালক মুহাম্মদ খান বলেন, বন সংরক্ষণ করতে পারলে পরিবেশ ও প্রতিবেশের অনেক সংকটের সমাধান মিলবে। এ জন্য ব্যক্তি খাতের সক্রিয় উদ্যোগ লাগবে।
আরও বক্তব্য দেন আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান, বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিউদল্লাহ আজিম প্রমুখ।