স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সামগ্রিক উন্নয়নমুখী বাজেট উপস্থাপনের জন্য অর্থমন্ত্রী ও সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। সেই সঙ্গে নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে তারা।
বাজেট-উত্তর প্রতিক্রিয়ায় উইমেন চেম্বার বলেছে, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য রাজস্ব খাতে সুনির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ করা প্রয়োজন; নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ বিতরণে সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে তারা।
সেই সঙ্গে উইমেন চেম্বার আরও যেসব প্রস্তাব করেছে, সেগুলো হলো:
১. নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স ও নবায়ন মাশুল ৫০% হ্রাস করা।
২. নারীদের জন্য বর্তমানে যেসব সুবিধা আছে, সেগুলো মূলত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য। বর্তমানে নারীরা মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প স্থাপনে এগিয়ে আসছেন। মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পে বিনিয়োগকারী নারীদের শুল্ক ও করের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হোক।
৩. নারীর করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬ লাখ টাকায় উন্নীত করা হোক। মূল্যস্ফীতি, জীবনযাত্রার ব্যয়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জনগণের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় রেখে আয়ের স্তর পুনর্বিন্যাস ও করহার পুনর্নির্ধারণ।
৪. ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের জন্য এসএমই খাতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব।
৫. নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে যাঁরা সেবা খাতে আছেন, তাঁদের ব্যবসায় অর্পিত ভ্যাটের হার ১৫ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হোক। বিশেষ করে বুটিক, বিউটি পারলার, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, ক্যাটারিং সেবা, রেস্তোরাঁ ব্যবসা, সাধারণ খাবারের দোকান বা খাদ্যপণ্যের ব্যবসার ক্ষেত্রে উপর্যুক্ত প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন একান্ত জরুরি।
৬. নতুন নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা শুরুর প্রথম তিন বছর কর ও ভ্যাট মওকুফ করা হোক।
৭. সরকারঘোষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণোদনা প্যাকেজে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৫ শতাংশ কোটার বদলে ১৫ শতাংশ কোটা বরাদ্দ করা হোক।
৮. নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে সরকার গৃহীত নীতি নির্ধারিত ফোরামে বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিডব্লিউসিসিআই) একজন প্রতিনিধিকে সংযুক্ত করা হোক।