অনেকের কাছেই চোখের সুরক্ষায় চশমা প্রয়োজনীয় পণ্য
অনেকের কাছেই চোখের সুরক্ষায় চশমা প্রয়োজনীয় পণ্য

চশমা কিনতেও বাড়বে খরচ

চোখের অসুস্থতা কিংবা সুরক্ষায় চশমা বেশ দরকারি পণ্য। রাজস্ব বাড়াতে এই পণ্যের ওপরও নজর পড়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের কর্মকর্তাদের। চাশমার ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট তিন গুণ করে দিয়েছেন তাঁরা। ফলে নতুন করে চশমা কিনতে গেলে বাড়তি অর্থ গুনতে হবে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। অধ্যাদেশ দুটি হলো মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫। এই দুটি অধ্যাদেশ জারির প্রেক্ষাপটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ গতকাল এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। এর ফলে এই অধ্যাদেশের পরিবর্তনগুলো সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে গেছে।

এর আগে ১ জানুয়ারি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির এনবিআরের প্রস্তাব পাস করা হয়। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়। জাতীয় সংসদ না থাকায় অধ্যাদেশ দিয়েই শুল্ক-কর বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

প্রজ্ঞাপনে প্লাস্টিক ও মেটার ফ্রেমের চশমার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়টি জানানো হয়। এতে দেখা যায়, আগে প্লাস্টিকের চশমায় ৫ শতাংশ ভ্যাট ছিল। এখন সেটি বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। একইভাবে মেটালের ফ্রেমের চশমায় ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। রিডিং গ্লাসের প্লাস্টিক ও মেটাল—উভয় ধরনের ফ্রেমেও ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করেছে এনবিআর। পাশাপাশি সান গ্লাসের প্লাস্টিক ও মেটাল—উভয় ধরনের ফ্রেমেও ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

আগে দোকান থেকে এক হাজার টাকার একটি চশমার ফ্রেম কিনলে ৫০ টাকা ভ্যাট দিতে হতো। এখন যেহেতু ভ্যাটের হার তিনগুণ হয়েছে তাই দিতে হবে ১৫০ টাকা। তার মানে খরচ বাড়বে ১০০ টাকা।