কর্মজীবী নারী হিসেবে বাজেটে আমার চাওয়া, নারীদের মানবিক সামর্থ্য বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া। এ জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়ে নারীর স্বাস্থ্যসেবা, প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল, প্রজননসেবা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন। পাশাপাশি উৎপাদনশীল সম্পদ, সেবা, দক্ষতা ও অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধার ওপর নারীদের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকা উচিত। এতে নারীর অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের মতামত গ্রহণ এবং তাঁদের উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অর্থায়ন বাড়ানো প্রয়োজন। কর্মজীবী নারীদের জন্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বাড়াতে হবে। এতে নারীরা কর্মক্ষেত্রে আরও বেশি সফলতা দেখাতে পারবেন। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে অল্পশিক্ষিত ও অশিক্ষিত নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নেও তাঁদের সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।
বাজেটে নারীর করমুক্ত আয়ের সীমা বৃদ্ধি এবং আয়কর প্রদানের প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। গৃহিণী, পরিচারিকা বা গৃহকর্মে নিয়োজিত নারীদের শ্রম অর্থনৈতিক কার্যাবলিতে অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপ নিতে হবে। দরিদ্র্য নারীদের জীবনমান উন্নয়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, বৃদ্ধ ও পরিবারবিচ্ছিন্ন নারীদের পুনর্বাসনে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। যে কোনো উপায়েই হোক জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে হবে। দ্রব্যমূল্য যাতে সাধারণ নাগরিকের ক্রয়সীমার মধ্যে থাকে, সেই উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলেই আসন্ন বাজেট সবার জন্য সুখকর হবে।
নিশাত সুলতানা
সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার, এসবিএসি ব্যাংক।