পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি

৪৪ ব্যবসায়ী–প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

নিত্যপণ্য
নিত্যপণ্য

বাজারে চাল, আটা, ময়দা, ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও টয়লেট্রিজ পণ্যের ‘অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে অস্থিরতা’ তৈরির অভিযোগে দেশের ৪৪ ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। বুধবার মামলা করার পর গতকাল বৃহস্পতিবার এ–সংক্রান্ত তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়।

প্রতিযোগিতা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে উল্লেখিত পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে। যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, তার মধ্যে চালের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ১৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। আটা-ময়দার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৮, ব্রয়লার মুরগির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ৬, ডিমের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ৬ ও টয়লেট্রিজ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হলেও কমিশন ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেছে। কমিশনসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে নোটিশ জারি করা হয়েছে। বাকিদের নোটিশ এখনো জারি করা হয়নি বলে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২৬ সেপ্টেম্বর শুনানিতে ডাকা হয়েছে।

কমিশনের পক্ষ থেকে যে ১১ ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে চাল ব্যবসার প্রতিষ্ঠান রশিদ অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টস, বেলকন গ্রুপ, সিটি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল; আটা-ময়দার জন্য সিটি গ্রুপ; ডিমের জন্য প্যারাগন পোলট্রি, ডিম ব্যবসায়ী-আড়তদার বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি আমানউল্লাহ ও কাজী ফার্মসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান; ব্রয়লার মুরগির জন্য কাজী ফার্মসের কাজী জাহেদুল হাসান ও প্যারাগন পোলট্রি; টয়লেট্রিজ পণ্যের জন্য ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা পণ্যের জন্য একাধিক মামলা হয়েছে।

মামলার বিষয়ে সিটি গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স) বিশ্বজিৎ সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘কমিশন আমাদের কাছ থেকে নানা তথ্য নিয়ে পরে কোনো আলোচনা ছাড়াই মামলা করেছে। আমরা আইনগতভাবে এ মামলা মোকাবিলা করব।’

ইউনিলিভার বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ও পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস বিভাগের পরিচালক শামীমা আক্তার বলেন, ‘আমরা এখনো নোটিশটি হাতে পাইনি। তাই কী পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।

বহুজাতিক কোম্পানি হিসেবে আমরা দেশের সব ধরনের আইন মেনে এ দেশে ব্যবসা পরিচালনা করছি। সরকারকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’