বাজারে আদা ও রসুনের দাম এখন বাড়তি। সরবরাহের বড় কোনো ঘাটতি না থাকলেও পণ্য দুটির দাম বেড়েছে। এই দুই পদের মসলাজাতীয় পণ্য দেশে যেমন চাষ হয়, তেমনি বিদেশ থেকেও আমদানি হয়।
ডলারের বাড়তি দামের কারণে বর্তমান সময়ে আমদানিতে খরচ বেশি পড়লেও, আদা-রসুনের ক্ষেত্রে আমদানি করা পণ্যের দাম তুলনামূলক কম বেড়েছে। উল্টো দেশি আদা ও রসুনের দাম বেড়েছে বেশি।
গতকাল রোববার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ঢাকার বাজারদরের হিসাব অনুযায়ী, বাজারে এখন দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা। আর মানভেদে আমদানি করা আদার দাম প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১৮০ টাকা।
এক মাস আগেও দেশি আদা প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ ও আমদানি করা আদা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে, এক মাসের ব্যবধানে দেশি আদার দাম ৬২ ও আমদানি করা আদার দাম ৪২ শতাংশ বেড়েছে।
টিসিবি বলছে, বাজারে দেশি রসুনের দাম প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৯০ টাকা। এক মাস আগে এ দাম ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেই হিসাবে, এক মাসের ব্যবধানে দেশি রসুনের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১৪ শতাংশের ওপরে। তবে আমদানি করা রসুন এক মাস আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে, প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১৩০ টাকায়।
ঢাকার একাধিক পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টিসিবির দামের আশপাশেই বিক্রি হচ্ছে এই দুটি পণ্য। সাধারণত দেশি আদার কদর বেশি থাকলেও, রসুনের ক্ষেত্রে আমদানি করা বড় রসুনের চাহিদা বেশি বাজারে। বড় রসুনের চামড়া ছাড়ানো সহজ, তাই গৃহিণীদের কাছে এ রসুন বেশি পছন্দের।
মালিবাগ বাজারের রোজ জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা আবদুল জলিল প্রথম আলোকে বলেন, আদা ও রসুনের দাম বেড়েছে। তবে এটা হুট করে বাড়েনি। গত এক মাসে কয়েক দফায় কেজিপ্রতি ২ থেকে ৫ টাকা করে বেড়েছে। তবে বাজারে পণ্যের ঘাটতি নেই।
আদা ও রসুনের দাম বাড়লেও টিসিবির হিসাবে দাম কমেছে পেঁয়াজের। বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৮ থেকে ৪৫ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম একটু কম, বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।