ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করা শেখ হাসিনা সরকারের শেষ সময়ে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমেছে। গত ২০২৩–২৪ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিক এপ্রিল-জুনে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ।
আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত অর্থবছরের এপ্রিল-জুন তিন মাসের জিডিপির চিত্র প্রকাশ করা করেছে। এর আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
সর্বশেষ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয় কৃষি খাতে। এই খাতে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ ছাড়া শিল্প খাতে ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং সেবা খাতে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রবৃদ্ধির চিত্র প্রকাশের ফলে গত অর্থবছরের প্রতিটি প্রান্তিকের আলাদা করে জিডিপির প্রবৃদ্ধির তথ্য পাওয়া গেল। বিবিএসের হিসাব পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয় ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ। এর আগে দ্বিতীয় প্রান্তিক অক্টোবর-ডিসেম্বরে (গত বছর) জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয় ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর প্রথম প্রান্তিকে, অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ০৪ শতাংশ।
ছয় মাসের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে গত মে মাসে বিবিএস পুরো ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির একটি সাময়িক প্রাক্কলন প্রকাশ করে। এতে আলোচ্য বছরে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়।
বিবিএসের কর্মকর্তারা বলছেন, চতুর্থ প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধির হিসাব পাওয়ায় সারা বছরের প্রবৃদ্ধির হিসাবে কিছুটা পরিবর্তন আসবে।