২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ি ও সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি সিগারেটের ওপর সম্পূরক শুল্কের হার ৬৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৬ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব রেখেছেন। এ ছাড়া সিগারেট বা বিড়ির কাগজের স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে মূল্য সংযোজন করের (মূসক) হার সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘সিগারেট মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি পণ্য। এ জাতীয় ক্ষতিকর পণ্যের ব্যবহার কমানো ও রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্পূরক শুল্কের হার বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।’
অর্থমন্ত্রী প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরামূল্য নিম্ন স্তরে ৫০ টাকা ও এর চেয়ে বেশি রাখা এবং এর সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এর পাশাপাশি মধ্যম স্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৭০ টাকা ও তার চেয়ে বেশি এবং উচ্চ স্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১২০ টাকা ও এর ওপরে নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন তিনি। আর প্রিমিয়াম বা অতি উচ্চ স্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের মূল্যস্তর বাড়িয়ে ১৬০ টাকা ও তার তুলনায় বেশি নির্ধারণের সুপারিশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। এই তিন স্তরে ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেন তিনি।
অন্যদিকে আগের বছরের মতো হাতে তৈরি ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৮ টাকা ও ১২ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৯ টাকা ও ৮ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
আর হাতে তৈরি ফিল্টারযুক্ত বিড়ির ২০ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৯ টাকা ও ১০ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১০ টাকা করা এবং সম্পূরক শুল্ক ৪০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৪৮ টাকা ও প্রতি ১০ গ্রাম গুলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। সেই সঙ্গে উভয় ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্কের হার ৫৫ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব রেখেছেন তিনি।