সদ্য বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে মোংলা সমুদ্রবন্দরে রেকর্ডসংখ্যক ৯৭০টি জাহাজ এসেছে। এর আগে মোংলা বন্দরে এত জাহাজ আর কখনোই আসেনি। এই সময়ে মোংলা বন্দর ৩৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে।
আজ রোববার সকালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা এ তথ্য জানান।
২০২০-২১ অর্থবছরে মোংলা সমুদ্রবন্দরে রেকর্ডসংখ্যক ৯৭০টি জাহাজ এসেছে। এই সময়ে মোংলা বন্দর ৩৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে।
মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলা বন্দরে গত অর্থবছরে যে রেকর্ডসংখ্যক জাহাজ আসল, তাতে বোঝা যায়, বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে। পদ্মা সেতু চালু হলে এ অঞ্চলের যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে এই বন্দর। সারা দেশের ব্যবসায়ীরা যাতে বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হন, তা নিশ্চিত করতে বন্দর কর্তৃপক্ষ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি সার্বক্ষণিক চালু রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দর পরিচালনা করা হচ্ছে।
২০২০-২১ অর্থবছরে মোংলা বন্দরে মোট কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১১৯ দশমিক ৪৫ লাখ মেট্রিক টন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ তরফদার, পরিচালক (প্রশাসন) শাহীনুল আলম, প্রধান অর্থ ও হিসাব নিরীক্ষক সিদ্দিক আহমেদ, হারবার মাস্টার ফখরউদ্দিন, পরিকল্পনা প্রধান জহিরুল হক, প্রধান প্রকৌশলী শেখ শওকত আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে মোংলা বন্দরে মোট কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১১৯ দশমিক ৪৫ লাখ মেট্রিক টন। এ ছাড়া ৪৩ হাজার ৯৫৯টি কনটেইনার জাহাজ খালাস-বোঝাই এবং ১৪ হাজার ৪৭৪টি গাড়ি নামানো হয়েছে বন্দরে।
ডিসেম্বরে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে বছরে ৪৫ লাখ মেট্রিক টন কয়লা দরকার হবে। ফলে বছরে ১৩০টি মাদার ভেসেল এবং তিন শতাধিক লাইটার জাহাজ বন্দরে আসবে।রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, চেয়ারম্যান, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, ডিসেম্বরে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে বছরে ৪৫ লাখ মেট্রিক টন কয়লা দরকার হবে। ফলে বছরে ১৩০টি মাদার ভেসেল এবং তিন শতাধিক লাইটার জাহাজ বন্দরে আসবে।
মোহাম্মদ মুসা আরও জানান, করোনাকালের বিবেচনায় বন্দরের শ্রমিকদের শ্রমিককল্যাণ তহবিলে ৩২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর গৃহ নির্মাণ এবং করোনা তহবিলে মোংলা বন্দরের পক্ষ থেকে পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।