৪ মার্চ দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘বিবিএসের মূল্যস্ফীতির তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সানেম’ শীর্ষক সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিয়েছে বিবিএস।
ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতি মাসে মাঠপর্যায়ে সারা দেশের ৬৪টি জেলায় একটি করে গ্রামীণ, একটি করে শহর ও ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ১২টিসহ মোট ১৪০টি হাট/বাজার/মার্কেট এবং প্রতিটিতে তিনটি আউটলেটসহ মোট ১৪০X৩ = ৪২০টি আউটলেট থেকে বিভিন্ন প্রকার দ্রব্য ও সেবার মূল্য সংগ্রহপূর্বক উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জাতীয়, গ্রামীণ ও শহর—এই তিন শ্রেণিতে ভোক্তা মূল্যসূচক ও মূল্যস্ফীতির হার প্রণয়ন করে থাকে।
বিবিএস পৃথকভাবে শহর ও গ্রামাঞ্চলের প্রান্তিক গোষ্ঠী বা শ্রেণিতে মূল্যস্ফীতির হার প্রণয়ন করে না বলে প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলোর গড় মোট ব্যয়ের হিসাব মূল্যস্ফীতির হার প্রণয়নে পৃথকভাবে বিবেচনা করা হয় না। তবে সামগ্রিকভাবে গ্রামীণ ও শহরের মূল্যস্ফীতির হার প্রণয়নে শুধু প্রান্তিক গোষ্ঠী নয়; বরং সব শ্রেণির মানুষের মোট ব্যয়ের পরিমাণ বিবেচনা করা হয়। ফলে পদ্ধতিগতভাবে সানেমের প্রকাশিত মূল্যস্ফীতির হার বিবিএস প্রকাশিত মূল্যস্ফীতির হারের সঙ্গে তুলনাযোগ্য নয়।
সানেমের জবাব: সানেম সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার নিয়ে কথা বলেনি। বিষয়টি হচ্ছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কি এই সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করে, নাকি তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন, তা নিরূপণে সানেম এই বিদ্যায়তনিক চর্চা করেছে। পরামর্শ হচ্ছে, খাদ্যের তালিকা হালানগাদ করা। কারণ, মানুষের খাদ্যাভ্যাস বদলেছে, আগে যেসব খাবারের গুরুত্ব তুলনামূলক কম ছিল, এখন তার গুরুত্ব বেড়েছে।
দ্বিতীয়ত, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য পৃথকভাবে মূল্যসূচক প্রণয়ন করা। বিবিএস একসময় তা করত।