দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী যাঁরা হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করতে আসবেন, তাঁদের বিনোদনের জন্য সিনেপ্লেক্স বানাতে চায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর, নাটোর ও গোপালগঞ্জ—এ ছয় জেলায় বানানো হবে এসব সিনেপ্লেক্স। ‘১২ জেলায় হাইটেক পার্ক নির্মাণ’সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের আওতায় সিনেপ্লেক্সগুলো নির্মাণ করা হবে।
তবে আইসিটি বিভাগের সিনেপ্লেক্স বানানোর প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সিনেপ্লেক্স বানানোর দায়িত্ব ও এখতিয়ার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের। তথ্য মন্ত্রণালয় দেশের সব জেলায় একটি করে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করছে। তা ছাড়া এসব সিনেপ্লেক্স পরিচালিত হবে কীভাবে, রক্ষণাবেক্ষণ করবে কে, তা জানতে চেয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে আইসিটি বিভাগের বক্তব্য হলো অন্য সিনেপ্লেক্সের মতো এ ছয় সিনেপ্লেক্সে ছবি দেখানো হবে না। হাইটেক পার্কের ভেতরে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁরা ছাড়া বাইরের কোনো মানুষ সেখানে যেতেই পারবেন না।
জানতে চাইলে সিনেপ্লেক্স প্রকল্পের পরিচালক ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, এসব সিনেপ্লেক্স বানানো হচ্ছে মূলত বিনিয়োগকারীদের চিত্তবিনোদনের জন্য। তাঁরা সেখানে আইটিসংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের ভিডিও, ডকুমেন্টারি দেখবেন। এ ছয় সিনেপ্লেক্স কে পরিচালনা করবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্মাণ শেষে এসব সিনেপ্লেক্স বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হবে। তারা কীভাবে পরিচালনা করবে, সেটা তাদের বিষয়।
সিনেপ্লেক্স নির্মাণের দায়িত্ব তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের। আপনারা কেন করছেন, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ফজলুল হক বলেন, ‘তাদের সিনেপ্লেক্সে তো ছবি দেখানো হবে। সাধারণ মানুষ হবে সেখানে দর্শক। তাদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য আছে। তবু আমরা তাদের কাছ থেকে অনুমতি নেব।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ‘১২ জেলায় হাইটেক পার্ক নির্মাণ প্রকল্প’টি ২০১৭ সালে যখন একনেক সভায় অনুমোদন পায়, তখন সিনেপ্লেক্স বানানোর পরিকল্পনা ছিল না। চার বছর পর এসে এখন প্রকল্প সংশোধন করে সিনেপ্লেক্সের প্রস্তাব ঢোকানো হচ্ছে। গত বছরের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ৬ শতাংশ।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভারত সরকার ঋণ দেবে ১ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা। বাকি ২৫২ কোটি টাকা সরকার জোগান দিচ্ছে।