বর্তমান সরকার প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় এসে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি বা পিপিপি মডেল তৈরি করে দেশজুড়ে বেশ সাড়া ফেলে দেয়। কিন্তু গত এক যুগে কাঙ্ক্ষিত সাড়া মেলেনি পিপিপি প্রকল্প থেকে। প্রতি অর্থবছরের বাজেটে পিপিপি বাবদ টাকা রাখা হয়। কিন্তু সে টাকা অব্যবহৃত থেকে যায়। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে আবার পিপিপিতে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
গতকাল বৃহস্পতিবার ২০২১–২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট বক্তৃতা থেকে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের বাজেটে পিপিপি খাতে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে টাকা খরচ হয়নি। এই খাতে আবার একই অঙ্ক রাখা হয়েছে। গত এক যুগে পিপিপিতে মাত্র একটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ আকর্ষণে পিপিপির আওতায় প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
বর্তমানে পিপিপি কর্তৃপক্ষের আওতায় ৭৬টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত আছে, যার বিপরীতে বিনিয়োগের পরিমাণ ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। পিপিপির আওতায় এখন পর্যন্ত মাত্র একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। ছয়টি প্রকল্প নির্মাণাধীন।
এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের অভিঘাত মোকাবিলা তহবিলে পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই টাকা খরচ হবে। সড়ক পরিবহন, স্থানীয় সরকার বিভাগ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় মেরামত ও সংরক্ষণ খাতে ৭ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এ ছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে করোনার স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০০ কোটি টাকা রাখা হচ্ছে।