ব্যবসায়ীদের মতবিনিময়

বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি চান ব্যবসায়ীরা

ভেনামি চিংড়ি
ছবি: সংগৃহীত

বাগদা চিংড়ির পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে যেন ভেনামি চিংড়ি চাষ করা যায় সেই অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চিংড়ি উৎপাদকারীরা। এতে দুই চিংড়ির আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে সুবিধা হবে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। গতকাল বুধবার দুপুরে খুলনা নগরে অবস্থিত বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ওই আহ্বান জানানো হয়।

‘চিংড়ির উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে বাগদা চিংড়ির পাশাপাশি ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষ’ বিষয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বিএফএফইএ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফিশারি প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল।

মতবিনিময় সভায় বিএফএফইএর সহসভাপতি এস হুমায়ুন কবির বলেন, দেশে চিংড়ির উৎপাদন কমে যাওয়ায় ২০০০ সাল থেকে ভেনামি চিংড়ি চাষের আবেদন করে আসছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সরকার এ চিংড়ি চাষের অনুমতি দেয়নি। সর্বশেষ ২০১৮ সালে পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসেবে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি দেওয়া হয়। পরে ২০২১ সালে পাইকগাছার নোনাপানি গবেষণা কেন্দ্রের চারটি পুকুরে ভেনামি চিংড়ির চাষ করা হয়।

মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, বাগদা চিংড়ির উৎপাদন প্রতি হেক্টরে ৩৫০ কেজি। আর হেক্টরপ্রতি ভেনামি চিংড়ির উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১০ হাজার কেজি। প্রথম বছরেই উৎপাদনে শতভাগ সফল। কিন্তু তারপরও বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চাষের অনুমতি মিলছে না।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, একসময় দেশের অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী পণ্য ছিল চিংড়ি। এ কারণে দেশে ১৭৮টি মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা গড়ে উঠেছিল। বর্তমানে কাগজে-কলমে ১০৫টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে কার্যক্রম রয়েছে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫টির। চিংড়ির উৎপাদন কমে যাওয়ায় এ খাতের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কমেছে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।