বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্য এখন অর্থনীতিতে। ৫০ বছরে বাংলাদেশ নামের কথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হয়ে উঠেছে চমকে ভরা জাদুর বাক্স। সাহায্যনির্ভর বাংলাদেশ এখন বাণিজ্যনির্ভর দেশে পরিণত। তবে যাত্রাপথটা সহজ ছিল না। বড় ঝুঁকি নিয়ে অভিনব পথে এগিয়ে গেছেন আমাদের সাহসী উদ্যোক্তারা। এ সাফল্যের পেছনে আরও যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অর্থনীতিবিদ যেমন ছিলেন, আছেন নীতিনির্ধারকেরাও। মূলত অর্থনীতির এসব অগ্রনায়ক, পথ রচয়িতা ও স্বপ্নদ্রষ্টারাই ৫০ বছরে বিশ্বে বাংলাদেশকে বসিয়েছেন মর্যাদার আসনে।
আমরা বেছে নিয়েছি সেই নায়কদের মধ্যে ৫০ জনকে। আমাদের কাছে তারাই অর্থনীতির ‘গেম চেঞ্জার’।
দিনটি ছিল ১৯৯৭ সালের ১২ জুন। ওই দিন জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। বাজেট বক্তৃতার একপর্যায়ে তিনি বললেন, ‘নিছক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রবৃদ্ধিতে আমরা বিশ্বাস করি না। প্রবৃদ্ধি আমাদের লক্ষ্য নয়, লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায়মাত্র।’ এরপরই তিনি দরিদ্রদের জন্য প্রচলিত কিছু কর্মসূচির কথা বললেন। যেমন কাজের বিনিময়ে খাদ্য, খয়রাতি সাহায্য ইত্যাদি। তবে তিনি স্বীকারও করলেন যে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের সমস্যা এত প্রকট যে তা নিরসনের জন্য সরকারের প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে। এরপর তিনি সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও নতুন তিনটি কর্মসূচির ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণা এখন ইতিহাসের অংশ। মূলত, বাজেটকে মানবিক চেহারা দিয়েছিলেন তিনিই।
বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বা সোশ্যাল সেফটি নেটের সেই শুরু। মাত্র ৫০ কোটি টাকা দিয়ে যা শুরু হয়েছিল, এখন তা ১ লাখ ৭ হাজার ৬২৪ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। আর শুরুতে ছিল মাত্র একটি কর্মসূচি, বয়স্ক ভাতা। সেটি এখন বেড়ে হয়েছে ১২৩টি। বলা যায়, বাজেটকে একটি মানবিক চেহারা দেওয়ার মূল রূপকার ছিলেন শাহ এ এম এস কিবরিয়া। উল্লেখ্য, তিনিই প্রথম দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে একটি গৃহায়ণ তহবিল এবং কর্মসংস্থান তৈরির জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংকের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ ক্ষেত্রেও বরাদ্দ ছিল আরও ৫০ কোটি টাকা।
শাহ এ এম এস কিবরিয়া তাঁর সেই বাজেট বক্তৃতায় এ নিয়ে বলেছিলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে অসহায় দরিদ্র বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য একটি কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করার প্রস্তাব করছি। আমাদের সমাজে সর্বাপেক্ষা দরিদ্র, অসহায় ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করা শক্ত নয়। সমাজসচেতন ব্যক্তিমাত্রই জানেন যে আমাদের সমাজে যারা ভূমিহীন ও বিত্তহীন এবং বার্ধক্যের কারণে যারা দৈহিক পরিশ্রমে অক্ষম, তারাই সর্বাপেক্ষা দারিদ্র্যজর্জর জনগোষ্ঠী। এদের মধ্যে মহিলাদের অবস্থা আরও শোচনীয় ও করুণ। সামাজিক বিবর্তন ও মূল্যবোধের দ্রুত পরিবর্তনের ফলে বয়োজ্যেষ্ঠদের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যা করার ঐতিহ্য ক্রমশ দুর্বল হয়ে আসছে। এই প্রেক্ষিতে যেসব বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নিদারুণ দারিদ্র্যের কবলে জীবনের সায়াহ্নকাল যাপন করছেন, তাঁদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আবশ্যক বলে আমরা মনে করি। এখানে পুনরুক্তির প্রয়োজন নেই যে জননেত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের স্বীকার করতে হবে যে সরকারের রাজস্ব আয় সীমিত এবং দায়িত্ব ও কর্তব্য বহুমুখী ও ব্যাপক। তাই গভীর চিন্তাভাবনা ও বিবেচনার পর সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে এ দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডের ১০ জন সর্বাপেক্ষা বয়োজ্যেষ্ঠ ও দরিদ্র ব্যক্তিকে মাসে ১০০ টাকা হারে বছরে ১২০০ টাকা বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হবে। এই ১০ জনের মধ্যে অন্তত ৫ জন মহিলা হতে হবে। এই ব্যবস্থা চালু করলে সারা দেশে প্রায় ৪ দশমিক ৫ লাখ দরিদ্র ও বয়স্ক ব্যক্তি এই মাসিক ভাতা পাবেন। এ কর্মসূচির প্রাপকদের চাহিদা বিবেচনা করে প্রয়োজনবোধে নগদ ভাতার পরিবর্তে সমমূল্যের খাদ্যশস্য প্রদান করা যেতে পারে। এ কর্মসূচির জন্য সরকারের ব্যয় বছরে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পাবে। এ ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রশাসনিক ব্যবস্থা জটিল ও ব্যয়বহুল হতে পারে বলে অনেকে ধারণা করতে পারেন। আমরা মনে করি, আমাদের সরকার জেলা থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রথা প্রচলনের যে উদ্যোগ নিয়েছে, এই ভাতা প্রদানের কর্মসূচি তার সঙ্গে সম্পৃক্ত করলে প্রশাসনিক ব্যয় সীমিত ও ন্যূনতম রাখা সম্ভব হবে। আমরা জানি যে দেশে বিরাজমান দারিদ্র্যের ব্যাপ্তির প্রেক্ষাপটে প্রস্তাবিত এই ব্যবস্থা নিতান্তই অপ্রতুল। সংখ্যা সীমিত রাখার কারণে অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ দরিদ্র ব্যক্তিও এই কর্মসূচির আওতার বাইরে থেকে যাবেন। তবে দারিদ্র্যের মতো ভয়াবহ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রামের এটি হবে একটি প্রাথমিক কিন্তু সুনির্দিষ্ট ও দৃঢ় পদক্ষেপ। জাতীয় উৎপাদ ও প্রবৃদ্ধির হার এবং সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই বয়স্ক ভাতার পরিধি অবশ্যই সম্প্রসারিত করা হবে।’
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির শুরুটা নিয়ে একটি ঘটনার কথা লিখেছেন অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি লিখেছেন, ‘শাহ এ এম এস কিবরিয়া অর্থমন্ত্রী থাকাকালে (১৯৯৬-২০০১) তখনকার অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার আগে এক বিকেলে তাঁর অফিসে আমাকে আমন্ত্রণ জানান। তিনি ইঙ্গিত দেন, একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় আওয়ামী লীগ সরকার সমাজের দরিদ্র শ্রেণির জন্য কিছু সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি হাতে নিতে চায়। আমরা বেশ সহজেই একমত হলাম—আয় বিবেচনায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু, এমনকি তা সীমিত আকারে হলেও বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বস্তুত এটি ছিল সমাজের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য আর্থিক ভাতা বিতরণের এখনকার সম্প্রসারিত কর্মসূচির সূচনা। ধরন, নকশা ও বিতরণ বিবেচনায় এ উদ্যোগ ছিল টিআর বা কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি থেকে আলাদা। যে কেউ স্মরণ করতে পারেন, ১৯৯৮ সালে ঢাকার অর্ধেকসহ দেশের ৭৫ শতাংশ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়। এ সময় তৎকালীন অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করতে কী কী অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করতে আমাকে ডাকেন। জাতীয় বাজেট ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে এবং আমরা এ বিষয়ে একমত হলাম, আর্থিক পদক্ষেপকে সমর্থন দিতে ব্যাপক ঋণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া যেতে পারে। সামগ্রিক চাহিদা চাঙা করতে অর্থনীতিতে বড় অঙ্কের তারল্য প্রবেশ করাতে অর্থমন্ত্রীকে রাজি করানোর দরকার হয়নি। গ্রামের দরিদ্র বিশেষত প্রান্তিক কৃষকদের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যম হিসেবে অর্থমন্ত্রী কৃষি ব্যাংককে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন, যা পরে একটি দুর্দান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে স্বীকৃত হয়।’
পরের অর্থবছরের বাজেট থেকে এই নিরাপত্তা কর্মসূচির আকার আরও বড় হয়েছে, বরাদ্দ বেড়েছে, যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন ব্যবস্থা। এ নিয়ে ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় শাহ এ এম এস কিবরিয়া বলেছিলেন, ‘বাজেট শুধু সংখ্যার সমাহার নয়। বাজেট তৈরি করা হয় জনগণের জন্য। আমাদের এ বাজেটও জনগণের বাজেট। এ বাজেট হচ্ছে সামাজিক ন্যায়বিচারের বাজেট। আমরা চাই দুর্বল জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন। আমরা চাই, কর্মহীনদের হতাশা দূর করতে। আমরা চাই, অসহায় বৃদ্ধদের নিম্নতম নিরাপত্তা বিধান করতে। আমরা চাই, অসহায় নারী ও শিশুদের মুখ থেকে ক্ষুধা ও ত্রাসের ছায়া দূর করতে। কিন্তু আমরা জানি যে একসঙ্গে এত বড় কাজ করা সম্ভব হবে না। আমরা তাই পরিকল্পিতভাবে সামাজিক নিরাপত্তার জাল নির্মাণ করছি।’
শাহ এ এম এস কিবরিয়া ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। তাঁর সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন প্রথমে লুৎফর রহমান সরকার এবং পরে মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এবং ডেপুটি গভর্নর ছিলেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। ঋণখেলাপিদের নিয়ে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থমন্ত্রীর পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিল। আর এ কারণে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি। তবে শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ব্যর্থতা হচ্ছে, এসব প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর হাত থেকে শেয়ারবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করতে পারেনি। দেশের প্রথম শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি ঘটেছিল তাঁর আমলেই।
শাহ এ এম এস কিবরিয়ার আরেকটি বড় গুণ ছিল বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ তিনি শুনতেন। তিনিই দেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী, যিনি পেশাদার অর্থনীতিবিদদের নিয়ে একটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গ্রুপ গঠন করেছিলেন। পরবর্তী অর্থমন্ত্রীরা এই ধারা আর বজায় রাখেননি। ফলে নীতিনির্ধারণ অনেকটা প্রশাসনের ওপর নির্ভরশীল হয় পড়ে, যেখানে বিশেষজ্ঞ মত প্রায় পুরোটাই অনুপস্থিত।
তাঁর পুরো নাম শাহ আবু মোহাম্মদ শামসুল কিবরিয়া। ১৯৩১ সালের ১ মে হবিগঞ্জে তাঁর জন্ম। তিনি মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৪৭ সালে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৪৯ সালে সিলেট মুরারীচাঁদ কলেজ থেকে আইএ পাস করেছিলেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ১৯৫২ সালে বিএ (অনার্স) এবং ১৯৫৩ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
শাহ এ এম এস কিবরিয়া ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে পররাষ্ট্র সার্ভিসে যোগ দেন। ১৯৫৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান কূটনৈতিক মিশনের সদস্য হিসেবে কলকাতা, কায়রো, জাতিসংঘ মিশন, নিউইয়র্ক, তেহরান ও জাকার্তায় দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ১৯৭১ সালের ৪ আগস্ট ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাস ত্যাগ করে মুজিবনগর সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন সংগঠনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন এবং বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর শাহ এ এম এস কিবরিয়া ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনীতিসংশ্লিষ্ট বিভাগে ডিরেক্টর জেনারেল পদে যোগ দেন এবং মার্চ মাসে পররাষ্ট্রসচিব পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিজিতে হাইকমিশনার এবং জাতিসংঘের ইউরোপীয় অফিস জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন। ১৯৭৮ সালে তিনি পররাষ্ট্রসচিব পদে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৮১ সালের ৩১ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শাহ কিবরিয়া ১৯৮১ সালের মে মাস থেকে ১৯৯২ সালের মার্চ পর্যন্ত জাতিসংঘের এশিয়া ও প্যাসিফিকের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) নির্বাহী সচিব হিসেবে আন্ডারসেক্রেটারি জেনারেলের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৯৯২ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
শাহ এ এম এস কিবরিয়া ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জে এক গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত হন।