প্রবাসীদের পাঠানো আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ১৭৮ কোটি মার্কিন ডলার আয় পাঠিয়েছেন। গত বছরের একই মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১৪৫ কোটি ডলার। সেই হিসাবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ।
এদিকে প্রবাসী আয়ের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৪১২ কোটি ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, গত জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ১৯৬ কোটি ডলারের আয় পাঠিয়েছিলেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা (প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ৮৫ টাকা ধরে)। গত বছরের একই সময়ে প্রবাসীরা ১৬৪ কোটি ডলার বা ১৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন। গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় এবার একই মাসে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বেড়েছে ২ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। আর ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫ হাজার ১৩০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে প্রবাসীরা সব মিলিয়ে ১ হাজার ৬৬৮ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে আয় এসেছিল ১ হাজার ২৪৯ কোটি ডলার।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের মধ্যে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ অনেক বেড়েছে। কারণ, যোগাযোগ সীমিত হয়ে পড়ায় অবৈধ পথে দেশে টাকা আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশিরা অবস্থান করেন, এমন অনেক দেশে করোনার কারণে বিশেষ ভাতা দেওয়া হচ্ছে।
গত বছরের এপ্রিল ও মে মাস ছাড়া বাকি সময়ে পণ্য রপ্তানিতেও ভালো আয় হয়েছে। এ সময়ে আমদানি ব্যয় অবশ্য বেশ কমেছে। এ কারণে রিজার্ভে নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে।