নতুন অর্থবছরে যেভাবে আরও সাশ্রয়ী হব

সক্রেটিস বলেছিলেন, নিজেকে জানো। এখন নিজেকে জানতে গিয়ে তো বিপদ বাড়ল। এত দিন জানতাম আমরা মধ্যবিত্ত। যাদের আয় দিনে ১০ ডলারের বেশি, তারাই মধ্যবিত্ত। এর নিচে যারা, তারা নিম্ন আয়ের মানুষ। আর দিনে ২ ডলারের কম আয় করলে গরিব মানুষ। দুই মাস আগেও যার আয় ছিল দিনে ৮৫০ টাকা, সে ছিল মধ্যবিত্ত। নিতান্ত প্রয়োজনে ধারদেনার জন্য হাত পাততে একটু লজ্জা লজ্জা ভাব থাকলেও মধ্যবিত্ত হওয়ার একটা গর্ব তো ছিল। যেমনটা বাংলাদেশ গর্ব করেছিল নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে।

সক্রেটিস বলেছিলেন, নিজেকে জানো

কিন্তু ডলারের হিসাবটা এখন গোলমেলে হয়ে গেছে। যে ডলার কিছুদিন আগেও ছিল ৮৫ টাকা, সেটাই এখন ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা। সুতরাং মধ্যবিত্ত হতে হলে এখন আয় হতে হবে দৈনিক ৯৩৪ টাকা ৫০ পয়সা। সুতরাং এই আয় যাঁদের বাড়েনি, তাঁরা এমনি এমনি নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছেন। আর যাঁরা ডলারের হিসাবটা গোনায় আনতে চান না, তাঁদের জন্য রয়েছে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ মূল্যস্ফীতির আরেক হিসাব। ফলে এখন আয় থেকে অনায়াসে সাড়ে ৭ শতাংশ বাদ দিতে হবে।

ডলারের হিসাবটা আসলেই বড় গোলমেলে। মধ্যবিত্ত আর নেই বলে যাঁদের মন খারাপ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) তাঁদের জন্য নিয়ে এসেছে দারুণ এক সুসংবাদ। গতকাল শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ, আর মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ ডলার। এ ঘোষণা দেওয়া হয় গত ১০ মে। তখন ডলারের দর ছিল ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা। ফলে টাকার অঙ্কে মাথাপিছু আয় ছিল ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৪০ টাকা। এখন সেই ডলারের দর ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা হওয়ায় আয় বেড়ে হয়ে গেছে ২ লাখ ৬৩ হাজার ৯০২ টাকা। সুতরাং মানিব্যাগের স্বাস্থ্য ভালো না হলেও সরকারি কাগজে আয় কিন্তু ঠিকই বেড়ে গেছে। আর নতুন পাস হওয়া বাজেটে বলাই আছে যে নতুন অর্থবছরে জিডিপি বাড়বে সাড়ে ৭ শতাংশ হারে। এর মানে মাথাপিছু আয়ও বাড়বে।

নতুন অর্থবছরের ছয় চ্যালেঞ্জ

আয় বাড়ার এই সুসংবাদ দিয়েই নতুন অর্থবছর শুরু করা যাক। দার্শনিক প্লেটো বহু আগেই বলে গেছেন, শুরুটাই হচ্ছে যেকোনো কাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিদায় নেওয়া অর্থবছরের শেষ দিন, গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নতুন বাজেট পাস হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক একই দিনে ছয় মাসের মুদ্রানীতি প্রকাশ করেছে। নতুন বাজেট ও নতুন মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়েই শুরু হলো ২০২২-২৩ অর্থবছর।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় নতুন অর্থবছরের জন্য ছয়টি চ্যালেঞ্জের কথা বলেছিলেন। যেমন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি; গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের দাম বাড়ায় ভর্তুকির জন্য অর্থের সংস্থান; বৈদেশিক সহায়তার অর্থ ব্যবহার ও উচ্চ অগ্রাধিকারের প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করা; শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন; অভ্যন্তরীণ মূল্য সংযোজন কর সংগ্রহের পরিমাণ এবং ব্যক্তি আয়করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি; এবং টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখা।

অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন অর্থবছরে তিনি মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে রাখবেন, যা এখন প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি কমানোর ম্যাজিকটা কী, তা অবশ্য বলেননি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতিতে মুদ্রা সরবরাহ কমানোর কথা বলা হয়েছে। এ জন্য ব্যাংকব্যবস্থা থেকে টাকা ধার নেওয়ার নীতি সুদহার বা রেপো বাড়ানো হয়েছে, বেসরকারি খাতে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রাও কমানো হয়েছে। এতে কমবে বিনিয়োগ। সুতরাং অর্থমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি একই সঙ্গে কীভাবে ঘটবে, তা বোধগম্য হচ্ছে না।

বাজেট কাদের জন্য

দরিদ্র মানুষেরা বাজেট নিয়ে ভাবেন না। কারণ, তাদের তো আসলে বাজেটই নেই। বাজেটকে একটু মানবিক চেহারা দিতে হয় বলে অর্থমন্ত্রীরা দরিদ্রদের জন্য নানা কর্মসূচির ঘোষণা দেন। সোশ্যাল সেফটি নেট বা সামাজিক কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখেন। দারিদ্র্যসীমা নিয়ে কিছু কথা বলেন, যা হয়তো দেশের গরিব মানুষের কানেই যায় না।

ধনিক শ্রেণিও বাজেট নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয়। কারণ, তাদের বাজেট কখনো ফুরায় না। গাড়ির দাম কতটা বাড়বে বা বাড়ি-গাড়ি কিনলে অর্থের উৎস কেউ জানতে চাইবে কি না, এ নিয়ে হয়তো কারও কারও আগ্রহ আছে। তবে এবারের বাজেটে পাচার করা টাকা বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আবার বিদেশে থাকা স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি থাকলে তা–ও ঘোষণা দিয়ে বৈধ করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তবে কোন সংসদ সদস্যের স্ত্রীর নামে কানাডায় বাড়ি আছে, সিঙ্গাপুরে কোন ব্যবসায়ীর একাধিক হোটেল আছে, কার থাইল্যান্ডে আছে বিশাল রিসোর্ট, কোন কোন ঋণখেলাপির দুবাইতে বড় ব্যবসা আছে—তা কমবেশি সবাই জানেন। অবশ্য সরকার তা খুঁজে বের করবে, এর কোনো লক্ষণ নেই। তাই শুধু শুধু বাজেটে এসব বিষয় রেখে লাভ নেই বলেই হয়তো তা বাদ দেওয়া হয়েছে।

বাজেট নিয়ে সব চিন্তা আসলে মধ্যবিত্তের। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এক গবেষণায় বলেছিল, বাংলাদেশে দ্রুত মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ হচ্ছে। এ মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিশাল অংশ চাকরি করেন। তাঁরা এখন ফ্ল্যাটে থাকেন কিংবা জমির মালিক। তাঁরা ইন্টারনেটও ব্যবহার করেন। টাকাপয়সা রাখেন ব্যাংক হিসাবে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখন মধ্যবিত্ত। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মধ্যবিত্ত হবে।

মধ্যবিত্তদের কী হবে

বাংলাদেশে আসলে মধ্যবিত্ত দুই শ্রেণির। যাঁরা যেকোনো সংকটে দ্রুত নিম্ন আয়ের কাতারে চলে যান—তাঁরা এক শ্রেণির। অন্য শ্রেণিতে আছেন, যাঁরা মধ্যবিত্ত হিসেবে টিকে থাকতে সর্বদা চাপের মধ্যে থাকেন। মূল্যস্ফীতি বা অন্য কোনো সংকটে তাঁরা সর্বদা যেন যুদ্ধের ময়দানে থাকেন। সংসারের বাজেট সামলাতে নানা কৌশল করেন। এ ছাড়া তো তাঁদের পথও নেই।

কেননা অর্থমন্ত্রী নতুন বাজেটে মধ্যবিত্তের জন্য আসলে কিছুই রাখেননি। এবারের বাজেট ছিল কেবল বড় ব্যবসায়ীবান্ধব, অন্যদের জন্য তেমন কিছুই ছিল না। এমনকি মধ্যবিত্তরা যে সীমাহীন চাপে আছেন, তাঁর কোনো স্বীকৃতিও ছিল না। ১৭২ পৃষ্ঠার বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী মাত্র দুবার মধ্যবিত্ত কথাটি উচ্চারণ করেছেন। একবার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা উল্লেখ করে বলেছেন যে তিনি বেড়ে উঠেছেন মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবেশে। দ্বিতীয়বার বলেছেন দেশের ৪ কোটি মধ্যবিত্ত ও তদূর্ধ্ব শ্রেণির কথা, যাদের অধিকাংশই আয়কর দেয় না।

আসুন, অর্থমন্ত্রীকে সহায়তা করি

ধরা যাক, পাঁচজন সদস্য নিয়ে সুলতান আহমেদের পরিবার। তারা অনেক আশায় ছিলেন বাজেটে এমন কিছু থাকবে, যাতে নতুন অর্থবছর খানিকটা স্বস্তিতে কাটাতে পারবেন। কিন্তু প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির কতগুলো লক্ষ্যমাত্রা ছাড়া নতুন কিছু পাননি কেউ। চাকরি করেন এবং ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন পান বলে আয়কর ঠিকমতো দিতেই হয়। ফলে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই। তবে মূল্যস্ফীতির কারণে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হবে বলে প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। বরং আয়কর রিটার্ন নিয়ে ভোগান্তি বাড়বে বলে তিনি নিশ্চিত। আগের মতো আর টিআইএন থাকলেই হচ্ছে না, আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রাপ্তি রসিদ লাগবে নানা সেবা পেতে।

তাহলে সুলতান আহমেদের মতো সীমিত আয়ের মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষেরা মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে কীভাবে টিকে থাকবেন? এ জন্য প্রথমে বিসর্জন দিতে হবে মুখের স্বাদকে। মোটা চাল খেতে পারেন না, সরু চালে অভ্যস্ত হয়েছিলেন। এখন নাজিরশাইল বাদ দিয়ে পাইজাম বা লতা খেতে হবে। বিজ্ঞাপন দেখে দেখে ভেবেছিলেন লাল আটার রুটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ভালো। সেটিও এখন বাদ। আটার দাম অত্যধিক বেড়েছে। রাতে রুটির পরিবর্তে আবার ভাতেই ফিরতে হবে। সয়াবিন তেল খাওয়া কমিয়েছেন কয়েক মাস আগেই। তাতে রান্নার স্বাদ কমেছে ঠিকই, কিংবা বেশি তেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য যে খারাপ, সেটি নিজেকেই বারবার মনে করিয়ে দেন। আসলে বেড়েছে সব ধরনের পণ্যের দামই। তাতে উপকারও কিছুটা আছে। বেহিসাবি খরচের একটা বদনাম সুলতান আহমেদের ছিল। এখন বেশ হিসাব করা শিখেছেন, নিজ অর্থের ব্যবস্থাপনা জানছেন, রেশনিং বিষয়টা আত্মস্থ করতে পারছেন। এই সবই সামনের দিনগুলোতে কাজে লাগবে।

তবে ডিমের দাম বাড়ায় বেশ খানিকটা চিন্তায় আছেন সবাই। দেশে আবারও করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। এর চিকিৎসা ব্যয় আছে। আক্রান্ত হলে খেতে হয় পুষ্টিকর খাদ্য। চিকিৎসক বলেছেন, ডিম ও ফল বেশি করে খেতে। ডিমের দাম বেড়ে গেছে অনেক, জুস খাওয়া মোটামুটি বিলাসিতা, আর বিদেশি ফল তো এখন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) খাতায় বিলাসী পণ্য। এর শুল্ক হার বাড়ানোর কারণে বেড়ে গেছে আমদানি করা আপেল, মাল্টা বা আঙুরের দাম। তবে আপাতত বড় ভরসা আম, যদি রক্তে শর্করা রোগ না থাকে।

বাংলাদেশের মানুষ খাদ্যের পেছনেই বেশি অর্থ খরচ করে। তবে শহরে এলাকায় বাড়িভাড়া, পরিবহন ও শিক্ষায়ও খরচ আগের তুলনায় অনেক বেশি বেড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম আগেই বাড়ানো হয়েছিল। গৃহস্থালি গ্যাসের দাম বেড়েছে। বিভিন্ন সূত্র বলছে, সামনে বাড়বে পানি ও বিদ্যুতের দাম। এত সব ব্যয়ের চাপ থেকে রক্ষার উপায় একটাই—বাকি সব ব্যয় কমাতে হবে। মাসে একবার-দুবার বাইরে খাওয়াও আপাতত বাদ। বাতিল করতে হবে বেড়াতে যাওয়ার বার্ষিক পরিকল্পনাও। আর যদি হাঁটার অভ্যাস বাড়ানো যায়, তাহলে সাশ্রয়ী হওয়াও আরেকটু সহজ হবে। যাতায়াত খরচ তাতে কমবে, স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। তবে এ জন্য ঢাকার রাস্তায় হাঁটার উপায় নেই, ফুটপাত নোংরা বা দখলে—এসব বিষয়ে একেবারেই নির্মোহ হয়ে যেতে হবে। আর বাড়িতে বেশি বেশি বৈদ্যুতিক আলো জ্বালিয়ে রাখার দরকারই–বা কী। এ ছাড়া ঘন ঘন কাপড় ধুলে স্থায়িত্ব কমে যায়। এতে পানির সাশ্রয় হবে।

এভাবেই আসলে নিজ নিজ জায়গায় থেকে যতটুকু সম্ভব কৃচ্ছ্রসাধন করা বা মিতব্যয়ী হওয়া সম্ভব। তাতে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মানুষ যদি খরচ কমায়, ভোগ কমিয়ে দেয়, বিনিয়োগ কমে যায়, তাহলে সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কী করে হবে। কারণ, প্রবৃদ্ধির হিসাব তো ব্যয় ও ভোগের ওপরই বেশি নির্ভরশীল। তবে এ নিয়ে সাধারণদের চিন্তা না করলেও চলবে। এ জন্য বিবিএস আছে। তাদের কাগজে ঠিকই প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পূরণের গল্প থাকবে।

অর্থবছর নিয়ে লেখা কবিতা পাওয়া গেল না। তবে রবীন্দ্রনাথ নববর্ষ নিয়ে একাধিক কবিতা লিখেছেন। চিত্রা কাব্যগ্রন্থে নববর্ষে কবিতায় রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘যতক্ষণ আছ হেথা স্থিরদীপ্তি থাকো,/ তারার মতন।/ সুখ যদি নাহি পাও, শান্তি মনে রাখো/ করিয়া যতন।/ যুদ্ধ করি নিরবধি বাঁচিতে না পার যদি,/ পরাভব করে আক্রমণ,/ কেমনে মরিতে হয় তবে/ শেখো তাই করি প্রাণপণ।’