বাংলাদেশে এখনো চীনের বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরের আলোচনা অনুযায়ী বাংলাদেশে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করার কথা। এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ হয়েছে মাত্র ২০০ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশের প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)।
বুধবার ‘বাংলাদেশ-চীন ইকোনমিক অ্যান্ড ট্রেড রিলেশনস ইন দ্য আফটারমাথ অব দ্য কোভিড-১৯ গ্লোবাল প্যানডেমিক’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল সেমিনারে বক্তারা এই মন্তব্য করেন। ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) যৌথভাবে সেমিনারটির আয়োজন করে।
সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে সহায়তা ক্রমাগত গভীর হচ্ছে। গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে চীন। ফলে চীনের বাজারে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে বিদ্যমান শুল্কমুক্ত সুবিধা ছাড়াও এফটিএ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। ২০২০ সালে চীন আমাদের জন্য ৯৭ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশও বাণিজ্যে সুবিধা করতে পারবে বলে আমি মনে করি।’
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের অবকাঠামো, টেলিযোগাযোগ, বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ প্রায় সব খাতেই চীনের বিনিয়োগ এসেছে। এর মধ্যে পদ্মা সেতু ও রেল লিংক অন্যতম।