সংযুক্ত আরব আমিরাতের জেবেল আলী বন্দর থেকে খেজুর আমদানি হয়েছিল রোজার আগে। রোজা শুরুর পরও আমদানি হওয়া এ খেজুর খালাস নেয়নি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। পরে চালানটি নজরে আসে কাস্টম হাউসের পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিটের। সন্দেহ হওয়ায় কাস্টমস কর্মকর্তারা চালানটি পরীক্ষা করেন। তাতে দেখতে পান খেজুরের আড়ালে বিদেশি সিগারেট এনেছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
কাস্টমসের নথি অনুযায়ী, চালানটি এনেছে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার তিনপুল এলাকার পাশে কাদের টাওয়ারের চতুর্থতলার সূচনা ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার জাহাঙ্গীর আলম। এর আগে একই টাওয়ারের আরাফাত এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা কাগজের চালানে জাল ব্যান্ডরোল ধরা পড়েছিল।
এবারের পণ্যবোঝাই কনটেইনারটি বন্দরে জাহাজ থেকে নামানোর পর নেওয়া হয় এ কে খান মোড়ের পাশে ইস্পাহানি সামিট অ্যালায়েন্স টার্মিনালে। সেখানে রোববার কনটেইনার খুলে ১ হাজার ৯৮৩টি কার্টনে খেজুরের নিচে সিগারেটের প্যাকেট পাওয়া যায়। ঘোষণা অনুযায়ী, ৭৮৯টি কার্টনে সব মিলিয়ে ১১ হাজার ৮৫৬ কেজি খেজুর পাওয়া গেছে চালানটিতে। আর সিগারেট পাওয়া গেছে সাড়ে ৫৫ লাখ শলাকার।
চালানটিতে পাওয়া সিগারেটের মূল্য ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এই সিগারেটের শুল্ককর আসে ৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। শুল্ককর ফাঁকি দিতেই আমদানিকারক এই কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন বলে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার মো. সালাহউদ্দিন রিজভী প্রথম আলোকে বলেন, পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিটের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় চালানটি শনাক্ত করে কায়িক পরীক্ষা করা হয়। এরপরই সিগারেট জব্দ করা হয়। এখন আমদানিকারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমদানিনীতি অনুযায়ী, সিগারেট শর্ত সাপেক্ষে আমদানিযোগ্য। সিগারেটের গায়ে বাংলায় ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ লেখা থাকতে হয়। কিন্তু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অসত্য ঘোষণায় সিগারেট আমদানি করেছেন।