‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’র লেনদেন অপরাধ নয়, সিআইডিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি

  • সিআইডির প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংক তার মতামত জানায়

  • সাত মামলা, পাঁচটিই র‌্যাবের

  • ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুমোদন পেয়েছে

  • বাংলাদেশের উচিত দ্রুত এ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া


‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’র মালিকানা, সংরক্ষণ বা লেনদেন অপরাধ নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ মতামত দিয়েছে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি একধরনের ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া এ ধরনের মুদ্রার সংখ্যা এখন আট হাজারের বেশি। তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিটকয়েন। ২০০৮ সালের শেষভাগে জাপানি নাগরিক সাতোশি নাকামোতো নামের একজন বা একদল সফটওয়্যার বিজ্ঞানী এই ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ উদ্ভাবন করেন।

কয়েন মার্কেট ক্যাপের তথ্য অনুযায়ী, ১ বিটকয়েনের বিনিময়মূল্য গত ২৪ জুলাই সন্ধ্যায় ছিল ৩৩ হাজার ৮০৫ দশমিক ৩১ ডলার। তবে বাংলাদেশে বিটকয়েন লেনদেন অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। এ মুহূর্তে সিআইডি দুটি মামলার তদন্ত করছে। এমন একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি মতামত চেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে।

গত ১৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের সহকারী পরিচালক শফিউল আজম ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে ব্যাংকের অবস্থান জানান সিআইডিকে। তিনি লেখেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির মালিকানা, সংরক্ষণ বা লেনদেন স্বীকৃত না হলেও এটিকে অপরাধ বলার সুযোগ নেই মর্মে প্রতীয়মান হয়।’ ওই চিঠিতে তিনি আরও বলেন, ভার্চ্যুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের ফলাফল হিসেবে দ্বিতীয় পর্যায়ে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭; সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর আওতায় অপরাধ হতে পারে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সিআইডি এ নিয়ে অনুসন্ধান করে দেখতে পারে।

একই চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বর্তমান বিশ্বে ভার্চ্যুয়াল মুদ্রার বাজার দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রচলনের প্রাথমিক পর্যায়ে বিশ্বের কোনো আইনগত কর্তৃপক্ষ এই মুদ্রাকে স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু বর্তমানে কয়েকটি দেশের (যেমন: জাপান, সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) কেন্দ্রীয় ব্যাংক/মুদ্রা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনকে বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো এ ধরনের প্রাইভেট কারেন্সিতে লেনদেন বা সংরক্ষণের অনুমোদন দেয়নি।


বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে কৃত্রিম মুদ্রায় (যেমন বিটকয়েন) লেনদেন থেকে বিরত থাকার বিষয়ে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছিল। বিজ্ঞপ্তিতে ওই সময় বাংলাদেশ ব্যাংক বলে, ভার্চ্যুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ–সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে। ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো কোনো নীতিমালা প্রণয়ন করেনি।

তবে এর মধ্যেই ক্রিপ্টোকারেন্সিকে একেবারে নাকচ করে না দেওয়ার ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে সংস্থাগুলোর মধ্যে। যেমন, সরকারের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ডিভিশন। ২০২০ সালের মার্চে এ বিভাগ ন্যাশনাল ব্লকচেইন স্ট্র্যাটেজি করে। ওই কৌশলপত্রে তারা বলেছে, ব্লকচেইন স্টার্টআপে ২০১৩ সাল থেকে ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ হয়েছে। এই বিনিয়োগ ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে। বাংলাদেশি সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিগুলোর জন্য এটা একটা সুযোগ। কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকায় বাংলাদেশের সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি এ আকর্ষণীয় সুযোগের বাইরে থেকে যাচ্ছে। অবশ্য ওই কৌশলপত্রে এও বলা হয়েছে, উপযুক্ত প্রযুক্তি, আইন ও নীতি কাঠামোর অনুপস্থিতিতে এ ধরনের ডোমেইন দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পথকে উন্মুক্ত করে দিতে পারে। তাই এই উভয়সংকট কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, তা বিবেচনা করা উচিত।

ব্লকচেইন হলো তথ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ব্লকে একটির পর একটি তথ্য চেইনের মতো করে সংরক্ষণ করা হয়। ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনের তথ্য ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে। এমনিতে এই মুদ্রার লেনদেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকিতে থাকে না। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দুজন নিজেদের পরিচয় প্রকাশ না করে সরাসরি এই লেনদেন করে । ২৭ থেকে ৩৪ অক্ষরের একটি আইডি খুলে ইন্টারনেটে অ্যাকাউন্ট খুলে এই মুদ্রা লেনদেন করা যায়। ভার্চ্যুয়াল এই মুদ্রা জমা থাকে ডিজিটাল ওয়ালেটে।

যদিও আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘শিগগির বিটকয়েন অনুমোদন দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বিটকয়েনের ভালো-মন্দ খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক।’

সিআইডিতে তদন্তাধীন দুই মামলা, অভিযোগ একই

এ মুহূর্তে সিআইডি দুটি মামলার তদন্ত করছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে র‌্যাব-১ মো. রায়হান হোসেন ওরফে রায়হানকে গ্রেপ্তার করে। র‌্যাবের দাবি ছিল বাংলাদেশে বিট কয়েন প্রতারণা চক্রের মূল হোতা রায়হান। এক মাসে তিনি ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার লেনদেন করেছেন। অডি গাড়ি কিনেছেন ১ কোটি ৭ লাখ টাকা দিয়ে। তাঁর কাছ থেকে ১৯টি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ২২টি সিমকার্ড, ২৫ ডলারসহ ১ হাজার ২৭৫ টাকা, একটি কম্পিউটার, ৩টি সেলফোন, ৩টি ভুয়া চালান বই, একটি ট্রেড লাইসেন্স, একটি টিন সার্টিফিকেট, একটি রেকর্ডিং মাইক্রোফোন, একটি ক্যামেরা, একটি রাউটার, একটি হেডফোন, একটি মডেম ও বিভিন্ন ব্যাংকের চারটি চেকবই উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের অভিযোগ, রায়হান পাকিস্তানি নাগরিক সাইদের সহায়তায় বিটকয়েনের মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও রাশিয়ার চোরাকারবারি, ক্রেডিট কার্ড হ্যাকার ও বিটকয়েনের মাধ্যমে অবৈধ পাচারকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন।
প্রায় একই ধরনের অভিযোগ তোলা হয় ইসমাইল হোসেন ওরফে সুমনের বিরুদ্ধে। গত ২ মে রাতে বাড্ডার ইকবাল ভিলা থেকে ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

পরদিন সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও রাশিয়ার ক্রেডিট কার্ড হ্যাকারদের সঙ্গে ইসমাইলের যোগাযোগ ছিল। তিনি বিদেশি সব হ্যাকারের সঙ্গে জোট বেঁধে প্রতারণা করে আসছিলেন। তারা আরও জানায়, ইসমাইল শিশুদের খেলনা ও কাপড়ের ব্যবসা করতেন একসময়। পরে বেসিক বিজ মার্কেটিং নামের একটি আউটসোর্সিং কোম্পানি তৈরি করেন। এর আড়ালে অবৈধ বিটকয়েন লেনদেন এবং অনলাইনে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে আসছিলেন। এভাবে তিনি অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন। ঢাকায় তাঁর দুটি ফ্ল্যাট, প্লট, সুপার শপের ব্যবসা আছে। এক বছরে তিনি অবৈধভাবে ১২ থেকে ১৫ লাখ ডলার লেনদেন করেন।

বাড্ডার ইসমাইল গ্রেপ্তারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন ওঠে, বিটকয়েন লেনদেন হয় দুটি আইডির মধ্যে, এর বাইরে আর কারও এ–সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারার কথা নয়। তাহলে র‌্যাব তাঁদের প্রতারণার খবর কীভাবে নিশ্চিত হলো।

এ বিষয়ে জানতে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কম্পিউটারে থাকা ডিজিটাল ওয়ালেট পরীক্ষা করে তাঁরা বিটকয়েন লেনদেনের ব্যাপারে তথ্য পান। তাঁদের মধ্যে ইসমাইল ইভ্যালি আদলে ব্যবসার চেষ্টা করছিলেন। তিনি দামি জিনিস কম টাকায় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজ্ঞাপন দিচ্ছিলেন। টাকাটা বিটকয়েনে নিয়ে সাইট বন্ধ করে দিচ্ছিলেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই বিটকয়েন এসেছিল বিদেশ থেকে।
এখন পর্যন্ত বিটকয়েন লেনদেন ও প্রতারণার অভিযোগে র‌্যাব কমপক্ষে পাঁচটি অভিযান চালায়। বগুড়া জেলা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে, ঢাকায় সিআইডির পরিদর্শক মো. ইব্রাহীম হোসেন নিজেই বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযোগপত্রও জমা দিয়েছে সিআইডি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অর্গানাইজড ক্রাইমের পরিদর্শক মো. ইব্রাহীম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পাবনার এক ব্যক্তি ২০১৩ সালে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন। তিনি একটি ক্যাসিনোতে কাজ নিয়েছিলেন। ওই ক্যাসিনোর মালিক হামকে তিনি বিটকয়েন কেনাবেচার জন্য বাংলাদেশের জাকারিয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। একপর্যায়ে হাম দাবি করেন, তিনি বিটকয়েন দিয়েছেন, কিন্তু অর্থ পাননি। এই বলে তিনি পাবনার ওই ব্যক্তিকে পুলিশে ধরিয়ে দেন। পরে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে দেশে পাঠিয়ে দেয়। সিআইডি অনুসন্ধানে জাকারিয়ার লেনদেনের খবর নিশ্চিত হন। আহ্‌ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাকারিয়াকে আসামি করে পরে সিআইডি অভিযোগপত্র জমা দেয়।

ক্রিপ্টোকারেন্সিকে অনুমোদন দেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি।
আহসান এইচ মনসুর, নির্বাহী পরিচালক, পিআরআই

ক্রিপ্টোকারেন্সিকে নাকচ করা কঠিন

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে জানান, ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন অনেকেই করছেন। সবাইকে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে, ওয়াকিবহাল আরেকটি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, যাঁরা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করেন, তাঁদের অনেক সময় সেবাগ্রহিতারা ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা দিয়ে থাকেন। এভাবে কেউ কেউ ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা লেনদেনে জড়িয়ে পড়ছেন।

সিআইডির একটি সূত্র নাম না প্রকাশ করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি এখন একটি বাস্তবতা। বৈদ্যুতিক গাড়ির কোম্পানি টেসলার নির্বাহী পরিচালক ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক নিজেই বলেছেন, তাঁর কাছে ক্রিপ্টোকারেন্সি আছে। তিনি আরও বলেছেন, টেসলা এখন বিটকয়েন ব্যবহার করার কথা ভাবছে। বাংলাদেশের উচিত, যেসব দেশ এই মুদ্রার অনুমোদন দিয়েছে, তাদের ঝুঁকি মোকাবিলার কৌশলগুলো পর্যালোচনা করে দ্রুত একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছানো।

একই মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক বি এম মঈনুল হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সিকে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র ক্রিপ্টোকারেন্সিকে করের আওতায় এনে অনুমোদন দিয়েছে। একটাই সমস্যা ব্যবহারকারীদের পরিচয় প্রকাশ না পাওয়ায়, অপরাধের একটা সুযোগ থাকছে। এমনকি বাংলাদেশ থেকে অর্থ বিদেশে পাচারের ঘটনাও ঘটতে পারে। কীভাবে নিজেদের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে মেনে নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে চিন্তা করা দরকার।

তবে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) প্রধান নির্বাহী আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, ক্রিপ্টোকারেন্সিকে অনুমোদন দেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিময় দুজনের মধ্যে হয়। নজরদারির কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের মতো দেশে এটিকে অনুমোদন দেওয়া হলে অর্থ পাচারকারীরা সুযোগ নিতে পারেন।