এক বছরের ব্যবধানে দেশে ব্রেন স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত মৃত্যু দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সর্বশেষ ২০২০ সালে ৮৫ হাজার ৩৬০ জন ব্রেন স্ট্রোকে মারা গেছেন। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার ৫০২। ব্রেন স্ট্রোকের পাশাপাশি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে বা হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুও। গত বছর হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার ৪০৮ জন মারা গেছেন। আগের বছর এ রোগে মারা যান ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৯ জন।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর পাশাপাশি গত বছর ৮ হাজার ২৪৮ জন মারা গেছেন করোনার কারণে। সব মিলিয়ে গত বছর সারা দেশে নানা রোগে ৮ লাখ ৫৪ হাজার ২৫২ জন মারা গেছেন। ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর নানা রোগের কারণে মৃত্যু বেড়েছে ৩১ হাজার ৪১২ জনের। ২০১৯ সালে ৮ লাখ ২২ হাজার ৮৪১ জন মারা গিয়েছিলেন বিভিন্ন রোগে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
২০২০ সালে ৮৫ হাজার ৩৬০ জন ব্রেন স্ট্রোকে মারা গেছেন। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার ৫০২।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে জরিপের এ ফল তুলে ধরেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিবিএসের মহাপরিচালক তাজুল ইসলামসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিবিএসের জরিপের তথ্য অনুযায়ী, লিভার ক্যানসারেও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৮৫০ জন। ২০১৯ সালে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ২১ হাজার ৩৭৪ জনের।
বিবিএসের জরিপের তথ্য বলছে, অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগে মৃত্যু কমেছে। ২০১৯ সালে সারা দেশে অ্যাজমায় প্রাণহানি হয়েছে ৩৮ হাজার ২৯০ জন। গত বছর তা কমে ৩২ হাজার ৭৫ জনে নেমে এসেছে। তবে ব্লাড ক্যানসারে মৃত্যু বেড়েছে। ২০১৯ সালে ব্লাড ক্যানসারে ১৮ হাজার ৬২০ জন মানুষ মারা গেছেন। গত বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৪৭১ জনে।
অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগে মৃত্যু কমেছে। তবে ব্লাড ক্যানসারে মৃত্যু বেড়েছে।
বিবিএস বলছে, এইচআইভি বা এইডসে আক্রান্ত হয়ে গত দুই বছরে দেশে একজনেরও মৃত্যু হয়নি। ২০১৯ সালে চিকুনগুনিয়ায় ৪ হাজার ৪৫৮ জনের মৃত্যু হলেও ২০২০ সালে তা কমে ৫২৪ জনে নেমে এসেছে। ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু কমেছে। ২০১৯ সালে ম্যালেরিয়ায় ২০ হাজার ৯৮ জন মারা গেছেন। গত বছর তা কমে ৬৫৫ জনে নেমে এসেছে।