সংবাদ সম্মেলন

এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও সুবিধার আশা

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের পরও উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে অন্তত ১২ বছর বাণিজ্যসুবিধা চায় বাংলাদেশ। এটি ছিল বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) দ্বাদশ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রস্তাব। সম্মেলনে অনেক দেশ ছয় থেকে নয় বছর পর্যন্ত সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে। এতে দাবিটি নিয়ে আলোচনার পথ আরও সুগম হয়েছে।

সচিবালয়ে গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ এ কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১২ থেকে ১৬ জুন ডব্লিউটিওর দ্বাদশ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এতে যোগ দেয়। সম্মেলন শেষ হওয়ার ১০ দিন পর গতকাল সংবাদ সম্মেলন হয়।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে ভালো কিছু ফল পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্যসচিব। তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ হবে ২০২৬ সালে। এরপর আরও কয়েক বছর বাজারসুবিধা অব্যাহত রাখার বিষয়ে জোরালো দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

সম্মেলনে মৎস্য খাতে ভর্তুকির বিষয়ে একটি চুক্তি অনুমোদিত হয়েছে বলে জানান তপন কান্তি ঘোষ। বলেন, অবৈধ ফিশিং ভেসেলে (গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জলযান) কোনো ভর্তুকি দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনের অতিরিক্ত মৎস্য আহরণও নয়।

বাণিজ্যসচিব বলেন, ডব্লিউটিওর সম্মেলনে কোভিড-১৯ এবং ভবিষ্যৎ মহামারি মোকাবিলার জন্য সংশ্লিষ্ট খাতগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে বাংলাদেশের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্যদ্রব্য রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তপন কান্তি ঘোষ জানান, সিঙ্গাপুর, নেপাল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ) এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে আলাদাভাবে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৈঠকে ওই সব দেশে রপ্তানি বাড়ানোসহ বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

বাণিজ্যসচিব বলেন, সম্মেলনে নেপালের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষর নিয়ে আলোচনা হয় এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সিঙ্গাপুর মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার আগ্রহ দেখায়।