বাজারে দাম কমাতে আমদানি করা পরিশোধিত পাম তেলের ওপর আগাম মূল্য সংযোজন করা (মূসক) বা ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বর্তমানে পাম তেলের ওপর ৪ শতাংশ আগাম ভ্যাট আছে। এর আগে ১১ এপ্রিল সয়াবিন তেল ও পাম তেল আমদানিতে ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করেছিল এনবিআর। আগাম ভ্যাট ও অগ্রিম কর প্রত্যাহারের ফলে বাজার পাম তেলের দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, এতে আমদানিকারকের খরচ কম যায়।
রোজার মৌসুমে ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায়। নিম্ন আয়ের পাশাপাশি মধ্যবিত্তের বাজারে হিসাবে টান লাগে। তাই সরকার আমদানি পর্যায়ে যাতে খরচ কমে যায়, সে জন্য সরকার প্রথমে আমদানি করা অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের ওপর ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করে। এবার আমদানি করা পরিশোধিত পাম তেলের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত এল।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। বলা হয়, খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন ১১৫ টাকা লিটারে বিক্রি হবে। বোতলজাত সয়াবিনের লিটার বিক্রি হবে ১৩৫ টাকায়। এ ছাড়া পাম সুপার বিক্রি হবে ১০৪ টাকা লিটার দরে। পরে আবার গত ১৫ মার্চ ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এক লিটারের এক বোতল সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ হয় ১৩৯ টাকা।
চলতি বছরের শুরু থেকে অস্থির হয়ে পড়ে ভোজ্যতেলের বাজার। দফায় দফায় বাড়তে থাকে দাম। ফেব্রুয়ারি মাসে দাম বেড়ে ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে আসে।