এবার ‘পাঠাও পে’ আসছে বৈধভাবে

রাইড শেয়ারিং সেবার মাশুল গ্রহণে ২০১৮ সালে ‘পাঠাও পে’ নামে সেবা চালু করেছিল পাঠাও। তবে অনুমোদন না থাকায় অল্পদিনেই তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন পাঠাওয়ের সেবা কুরিয়ার পৌঁছানো, গাড়ি ভাড়া, ফুড ডেলিভারি, কেনাকাটা পর্যন্ত বিস্তৃত। সব সেবার সঙ্গেই রয়েছে টাকার লেনদেন।

এসব লেনদেন নিরবচ্ছিন্ন করতে এবার নিজেরাই লেনদেনের নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসছে পাঠাও, যার নাম হবে পাঠাও পে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার বা পিএসপি হিসেবে পাঠাও পে–কে অনাপত্তি দিয়েছে। তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের পরই চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পাঠাও পে সেবা চালু করতে অনাপত্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের কার্যক্রম দেখে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।

জানা গেছে, বর্তমানে আইপে সিস্টেম, ডি মানি, রিকার্সন ও গ্রিন অ্যান্ড রেড টেকনোলজিস লিমিটেড নামে চারটি পিএসপি চালু আছে। তবে লেনদেন তেমন নেই। এর মধ্যে নতুন করে পাঠাও পে চালু হতে যাচ্ছে। আবার অনলাইনে পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান চালডালও একইভাবে পিএসপি লাইসেন্স পেতে আবেদন করেছে।

পিএসপি মূলত একটি স্বতন্ত্র লেনদেন প্ল্যাটফর্ম। যেই প্ল্যাটফর্মে হিসাব খুলে যেকোনো ব্যাংক, কার্ড ও মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ আনা যায়। আবার এই প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা, বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, অন্য হিসাবে টাকা পাঠানোসহ বিভিন্ন সেবা পাওয়া যায়। পিএসপি সেবা চালু করতে ২০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের একটি কোম্পানি গঠন করতে হয়। এরপর প্রক্রিয়া শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার অনুমোদন দেয়। এ জন্য কমপক্ষে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। পিএসপিগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে ই-মানি ইস্যু করতে পারে। এ জন্য ব্যাংকে খুলতে হয় ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট হিসাব। যার মাধ্যমে মূলত গ্রাহকদের টাকার সুরক্ষা দেওয়া হয়।

মুঠোফোনের অ্যাপ্লিকেশনভিত্তিক পরিবহনসেবা পাঠাওয়ের দুই প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মো. ইলিয়াস পাঠাওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সিফাত আদনান প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও)। ২০১৫ সালে জীবনকে সহজ করার স্বপ্ন নিয়ে স্টার্টআপ হিসেবে চালু হয় পাঠাও।

নতুন পিএসপি সেবা চালুর বিষয়ে পাঠাওয়ের জনসংযোগ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এখনই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে
রাজি হয়নি।

এদিকে পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর (পিএসও) হিসেবে কাজ করছে এসএসএল কমার্জ, আইটি কনসালট্যান্ট, সূর্যমুখী, প্রগতি সিস্টেমস লিমিটেড
ও পোর্টোনিক্স লিমিটেড। পিএসও প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যাংকের কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেন গ্রহণ করেন সেবা ও পণ্য বিক্রেতারা।