বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ই–কমার্সের জন্য নতুন আইন হবে কি না বা ই–কমার্স কর্তৃপক্ষ গঠিত হবে কি না, সেটা জানা যাবে আরও এক মাস পর। আইন ও কর্তৃপক্ষ গঠন করার বিষয়ে একটি উপকমিটি গঠিত হয়েছে। সে উপকমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশের ওপর নির্ভর করবে আইন ও কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে কি না। কমিটি পুরো বিষয়টি ভালোভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করবে।
ডিজিটাল কমার্স আইন প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার জন্য এ-সংক্রান্ত কমিটির প্রথম সভা আজ মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সফিকুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন আছে, প্রতিযোগিতা কমিশন আইন আছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আছে, এমনও হতে পারে বর্তমান আইনগুলোকে সংশোধন করে নতুন কোনো ধারা, উপধারা সংযোজন হবে। আর কর্তৃপক্ষ করতে বেশ সময় লাগে, এখানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের জড়িত থাকার বিষয় আছে। সহসা কর্তৃপক্ষ গঠন সম্ভব না–ও হতে পারে। তবে আমরা ডিজিটাল কমার্স সেলকে শক্তিশালী করব। এ সেলকে কারিগরিভাবেও সহায়তা দেওয়া হবে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলে ই–কমার্স খাতের বর্তমান দুরবস্থা হতো না এবং এ জন্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ই দায়ী। এ বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে সফিকুজ্জামান বলেন, ‘যে ক্ষতি হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। এটা আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব না। সুনির্দিষ্টভাবে এই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই।’
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ই–কমার্স আইন ও কর্তৃপক্ষ গঠনের লক্ষ্যে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) এ এইচ এম সফিকুজ্জামানকে কমিটির আহ্বায়ক এবং উপসচিব (কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল) মুহাম্মদ সাঈদ আলীকে সদস্যসচিব করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন—তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিনিধি, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের প্রতিনিধি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন করে শিক্ষক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের প্রতিনিধি, এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি, এটুআইর প্রতিনিধি, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক, বেসিসের সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিব উল আলম।