ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বহুমাত্রিক যোগাযোগব্যবস্থা তৈরি করে আঞ্চলিক বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হতে পারে বাংলাদেশ। এতে সিরাজগঞ্জ, কুমিল্লা, দাউদকান্দি, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী ও চিলমারী এ ছয় শহর নতুন অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে। পণ্যের চলাচল অবাধ হবে, যা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে রপ্তানি বাড়াবে। এসবের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উচ্চ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা অব্যাহত থাকবে।
গতকাল রোববার ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য ও আঞ্চলিক যোগাযোগের ওপর উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এসব কথা বলা হয়েছে। প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ভারতীয় দূতাবাসের বাণিজ্যিক প্রতিনিধি প্রমেশ বাসাল। সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বক্তব্য দেন। রাজধানীর বারিধারায় ভারতীয় দূতাবাস কমপ্লেক্সে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, ‘ভারতের শীর্ষ পাঁচ বাণিজ্য অংশীদারের একটি হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ভারতের কাছে অন্যতম অগ্রাধিকার। সাম্প্রতিক কয়েক বছরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে। এটি কি পর্যাপ্ত? না। আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই। তবে নানা ধরনের প্রতিকূলতাও আছে, যা কাটাতে হবে।’
ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, অবকাঠামো উন্নয়ন করলে পণ্য পরিবহন সাবলীল ও সাশ্রয়ী হবে। এতে পণ্যের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়বে। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক যোগাযোগ হলে সব পক্ষই সুবিধা পাবে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর বাণিজ্য সম্প্রসারণে গেম চেঞ্জার হতে পারে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, কৃষি যন্ত্রপাতি ও হালকা প্রকৌশল খাতে ভারতীয় বিনিয়োগ আকৃষ্ট হতে পারে।
প্রমেশ বাসাল তাঁর মূল প্রবন্ধে দেখান যে গত ছয় বছর ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এক দশক ধরেই কয়েকটি নিষিদ্ধ পণ্য ছাড়া সব পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ।
ভারতীয় দূতাবাসের রেল উপদেষ্টা অনিতা বারিক ভারতীয় রেল যোগাযোগ নিয়ে উপস্থাপনা তুলে ধরেন।