করোনার কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা গত বছর মার খেয়েছেন। তাঁরা সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা পাননি। যতটুকু প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল, তা থেকে অল্পই পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গতবারের মতো এবারও যদি তৈরি পোশাকের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে না পারেন, তাহলে তাঁদের অনেকটা সঞ্চয় শূন্য অবস্থায় এগোতে হবে। সেটি ব্যবসায়ীদের জন্য বড় দুর্যোগের কারণ হবে।
সরকারের আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা আমরা কমবেশি সবাই জানি। তাই এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে দোকানের কর্মচারী ও ক্রেতাদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে। কেউ যদি সেটি না মানেন, তাহলে অর্থদণ্ডের মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি পালন হচ্ছে কি না, সেটি সরকারকে প্রতিনিয়ত তদারকির মধ্যেও রাখতে হবে।
যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে সরকার যদি বড় ধরনের কোনো পদক্ষেপে যায় তাহলে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখতে হবে। তাঁদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
তবে গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের বড় অংশ কোনো ধরনের সহযোগিতা পায়নি। যেহেতু সরকারের পক্ষে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন করা সম্ভব নয়, সেহেতু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রেখেই বিকল্প ভাবতে হবে। ১১ এপ্রিলের আগেই সে বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আগানো দরকার।