ফার্মের মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। তাতে প্রতি ডজন ডিমের দাম পড়ছে প্রায় ১৪২ টাকা। আর প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকায় বিক্রি হবে।
আজ রোববার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রেয়াজুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পোলট্রি খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মতামতের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের জন্য ডিম ও মুরগির এই ‘যৌক্তিক মূল্য’ নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দর অনুসারে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা ও সোনালি মুরগি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা দরে বিক্রি হবে। এ ছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম রাখা হবে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা করে। তাতে প্রতি ডজন ডিমের দাম পড়বে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চিঠিতে আরও বলা হয়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম উৎপাদন পর্যায়ে ১৬৮ টাকা ৯১ পয়সা ও পাইকারি পর্যায়ে ১৭২ টাকা ৬১ পয়সা দরে বিক্রি হবে। অন্যদিকে সোনালি মুরগি উৎপাদন পর্যায়ে ২৬০ টাকা ৭৮ পয়সা ও পাইকারিতে ২৬৪ টাকা ৫৭ পয়সা কেজি দরে বিক্রি হবে।
উৎপাদন পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম পড়বে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, যা পাইকারিতে হবে ১১ টাকা শূন্য ১ পয়সা।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে মুরগি ও ডিমের মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানায় কৃষি মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এসব পণ্যের যৌক্তিক মূল্য সঠিকভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ডিম ও মুরগির যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে।
পোলট্রি খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে চলতি ২০২৪ সালের জন্য মুরগি (সোনালি ও ব্রয়লার) এবং ডিমের নির্ধারিত যৌক্তিক মূল্য (উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে) সঠিকভাবে বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।