অর্থ পাচার বা মানি লন্ডারিং–বিরোধী আইন লঙ্ঘনের অপরাধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)। এ অপরাধের দায়ে দেশটিতে সম্প্রতি ২২৫টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৭ কোটি ৭০ লাখ দিরহাম বা প্রায় ২ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। খবর খালিজ টাইমসের
গত সোমবার ইউএইর অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নবিষয়ক নিয়মনীতি পরিপালন নিশ্চিত করার জন্য এসব কোম্পানিকে জরিমানা করা হয়েছে।
পাশাপাশি দেশটির ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের অর্থ পাচারবিরোধী ব্যবস্থায় (গোএএমএল) নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হওয়ায় কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ অভিযোগে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মোট ৫০ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
পাচার করা টাকা লুকিয়ে রাখার জন্য অনেকের পছন্দের জায়গাগুলোর একটি সংযুক্ত আরব আমিরাত। কেউ কেউ টাকা নিয়ে সেখানে জমা রাখেন। আবার অনেকে তা দেশটির বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগও করেন। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি চাইছে, কেউ যাতে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন করতে না পারে।
আমিরাতের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গোএএমএল পদ্ধতির মাধ্যমে যেকোনো সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। এই প্রক্রিয়া অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন কার্যক্রম পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন লেনদেন ও অন্যান্য কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে থাকে। এ ব্যবস্থার উদ্দেশ্য হলো আর্থিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করা।
সর্বশেষ ১০ আগস্ট আমিরাতের অর্থ মন্ত্রণালয় আর্থিক খাতবহির্ভূত ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি ২৬ লাখ দিরহাম জরিমানা করেছিল।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মূল ভূখণ্ড কিংবা মুক্ত অঞ্চল—উভয় স্থানে এসব অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে আবাসন খাতের মধ্যস্থতাকারী ও এজেন্ট, মূল্যবান ধাতু ও পাথর সরবরাহকারী, নিরীক্ষক ও করপোরেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠান গোএএমএল পদ্ধতিতে নিবন্ধন না করা পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। যদি তারা তিন মাসের মধ্যে নিবন্ধন না করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মূলত আমিরাতের ব্যবসায়িক খাতে স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য এসব তদারকি ও অভিযান চালানো হচ্ছে।