ইন্টারনেটবিষয়ক বৈশ্বিক ইউটিলিটি তথা উপযোগ সেবার বাজার ২০২২ সালের শেষে বেড়ে দাঁড়াবে ৪ হাজার ৩৭৮ কোটি মার্কিন ডলারে। আগের বছর ২০২১ সালে এই বাজারের আকার ছিল ৩ হাজার ৮২১ কোটি ডলার। অর্থাৎ চলতি বছরের শেষে ‘ইন্টারনেট অব থিংস’ (আইওটি) সেবার বাজারে প্রবৃদ্ধি হবে ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
সদ্য প্রকাশিত ‘আইওটি ইন ইউলিটিজ গ্লোবাল মার্কেট রিপোর্ট ২০২২’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, কোভিড-১৯–এর ধকল ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ স্বল্প মেয়াদে হলেও বৈশ্বিক অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনাকে ব্যাহত করেছে। এই দুই দেশের মধ্যকার যুদ্ধের কারণে একাধিক দেশের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য বেড়েছে ও সরবরাহব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে। এতে বিশ্বের অনেক বাজারেই আইওটি সেবার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তা না হলে এই বাজারের আরও প্রবৃদ্ধি হতো।
প্রতিবেদন মতে, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি)–সংক্রান্ত ইউটিলিটি মার্কেট বা উপযোগ সেবার বাজারের আকার আগামী ২০২৬ সাল নাগাদ ১২ দশমিক ৪ শতাংশ হারে বেড়ে ৬ হাজার ৯৮৬ কোটি ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইন্টারনেটসংক্রান্ত ইউটিলিটি বা উপযোগ সেবাগুলো হচ্ছে, ইন-হোম ডিভাইস, প্ল্যাটফর্ম, সমাধান, পরিষেবা, ডেটা প্রবাহের শক্তিশালী ও সংযুক্ত নেটওয়ার্ক, যেটাকে সেলুলার সংযোগও বলা হয়। আবার আইওটি একটি ধারণাও বটে, যেটি উন্নত সমাধান উদ্ভাবনে জোর দেয়—যাতে উৎপাদনশীলতা ও কার্যক্রমের সঠিকতা বাড়ায়, জরুরি সংকটে সমাধান দেয় এবং সময়মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথ দেখায়। সেই সঙ্গে এটি দূষণ কমাতে, জ্বালানিসম্পদ ব্যবহারে এবং দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
২০২১ সালে বৈশ্বিক ইন্টারনেট সেবায় বৃহত্তম অঞ্চল ছিল উত্তর আমেরিকা। তবে এশিয়া প্যাসিফিক, পশ্চিম ইউরোপ, পূর্ব ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা—সর্বত্র এই বাজার রয়েছে। সূত্র: রিপোর্টলিংকার.কম