মোবাইলে আর্থিক সেবার কল্যাণে মানুষ এখন অর্থ লেনদেন করছেন সহজে। প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয় এ সেবার মাধ্যমে। দেশে মোবাইলে আর্থিক সেবার অন্যতম একটি মাধ্যম ‘নগদ’। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে পরিচালিত হয় নগদ। মোবাইল আর্থিক খাতে নগদের উদ্ভাবন ‘ইলেকট্রনিক নো ইয়োর কাস্টমার’ (ই-কেওয়াইসি) প্রচলনের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে বড় অগ্রগতির নজির রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। সেই সঙ্গে অর্জন করেছে গ্রাহকপ্রিয়তা।
সম্প্রতি মেঘনা ব্যাংকের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ‘মেঘনা পে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে নগদের এসব অর্জনের কথা উল্লেখ করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। তিনি বলেন, ‘মোবাইলে আর্থিক সেবা খাতে একটি বিপ্লব হয়ে গেছে। সেই বিপ্লবের অংশ হিসেবে নগদ মাত্র তিন বছরের মধ্যে শতকোটি ডলারের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে এ সেবার আওতায় এনে নগদ পেয়েছে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল এমএফএসের মর্যাদা। সবটাই সম্ভব হয়েছে সমন্বিত উদ্যোগ এবং সরকারের দূরদর্শিতার কারণে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নগদ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘দেশের জন্য সময়টা এখন প্রতিযোগিতার নয়; বরং সমন্বয়ের। মনোপলি বা একক নিয়ন্ত্রণের প্রচলন ভেঙে মেঘনা পের সঙ্গে দাঁড়াতে চায় নগদ। এ মনোভাব থাকার কারণেই অন্যান্য মোবাইলে আর্থিক সেবার তুলনায় নগদ অর্ধেক খরচে সেবা দেয়। তাই সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত এক বছরে দেশের মানুষের প্রায় ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।’
উল্লেখ্য, যেকোনো মোবাইল অপারেটরের নাম্বার থেকে *১৬৭# ডায়াল করে সহজেই নগদের অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। দেশের মোবাইলে আর্থিক সেবা মাধ্যমে এ উদ্ভাবনের কারণেই ২০২০ সালে নগদ অর্জন করেছে ‘উইটসা গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’। ঝামেলাহীন সেবা ও আধুনিকতম প্রযুক্তি নিয়ে ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে গ্রাহকের কাছে নগদ একটি জনপ্রিয় ও আস্থার নাম।