যেকোনো পরিস্থিতিতে নেটওয়ার্ক সচল রাখতে এবং আরও শক্তিশালী করতে এরিকসনের সর্ববৃহৎ ভয়েস চার্জিং কন্ট্রোল নোডস (সিসিএন) অপারেশনাল পুলের আওতায় এসেছে গ্রামীণফোন। এ প্রযুক্তি সমানভাবে নেটওয়ার্ক ট্রাফিক বিতরণ করে। এমনকি পিক-আওয়ার বা উৎসবের সময়েও সেবার মান একই রকম নিশ্চিত করে। ফলে দুর্যোগের সময়ও নেটওয়ার্ক স্থিতিশীল থাকবে এবং গ্রাহকেরা প্রতিকূল সময়েও প্রিয়জনদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার সুযোগ পাবেন।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের চিফ ইনফরমেশন অফিসার নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন বলেন, ‘আমাদের সব কাজের কেন্দ্রে রয়েছে আমাদের গ্রাহকেরা। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের বাইরে গিয়েও আমরা গ্রাহককেন্দ্রিকতা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি। গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ, তাঁদের জন্য কানেকটিভিটি ও নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করাই আমার মূল লক্ষ্য। যা কিছু গ্রাহকের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে সেগুলোর সঙ্গে গ্রাহকদের সংযুক্ত করার নিরলস চেষ্টা আমাদের সব সময়ের। এরিকসনের সঙ্গে এই পার্টনারশিপের মধ্য দিয়ে আমাদের গ্রাহকদের জন্য প্রযুক্তিতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিশ্বমানের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, ‘গ্রাহককেন্দ্রিকতা সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে গ্রামীণফোন এই খাতে একটি নতুন শিল্পমান স্থাপন করেছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশলগত পার্টনারশিপের মাধ্যমে আমরা কানেকটিভিটির ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। এই পার্টনারশিপ উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে সমৃদ্ধ গ্রাহক-অভিজ্ঞতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টার বহিঃপ্রকাশ। আমাদের গ্রাহকেরা যেন সব সময় সংযুক্ত থাকতে পারেন, সে জন্য শক্তিশালী, আরও বেশি স্থিতিশীল এবং ভবিষ্যৎ উপযোগী নেটওয়ার্কের ভিত্তি নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, টেলিযোগাযোগ খাতে সেবার মান উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে গ্রামীণফোন। গত ২৬ বছরে যোগাযোগ ও কানেকটিভিটি সেবাদানের ক্ষেত্রে দেশজুড়ে এক বিশ্বস্ত নামে পরিণত হয়েছে গ্রামীণফোন। এখন প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রিপেইড অ্যাকসেস কন্ট্রোল পয়েন্টস আছে, যা গ্রাহকদের শক্তিশালী ও স্থিতিশীল নেটওয়ার্কের সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা দিচ্ছে।