দেশে আবাসন খাতে গ্রাহকের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। আগে একটি ভবন বা বাড়ির মালিক হতে পারতেন শুধু কিছু বিত্তবানেরা। বর্তমানে অ্যাপার্টমেন্ট, কন্ডোমিনিয়াম, হোটেল কিংবা কমার্শিয়াল প্রপার্টির আদলে নানা শ্রেণির মানুষ ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের প্রপার্টিতে বিনিয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছেন। জীবনযাত্রার মান উন্নত হওয়ার পাশাপাশি মানুষের জীবনের সবকিছুর সঙ্গে প্রযুক্তি জড়িয়ে গেছে। ফলে আবাসনের ক্ষেত্রেও প্রযুক্তি অর্থাৎ ইন্টারনেটমুখী হচ্ছেন মানুষ। অনলাইনে প্রপার্টি লেনদেনে যত রকম সুবিধা উপভোগের সুযোগ রয়েছে, তার শীর্ষে অবস্থান করছে দেশের সেরা প্রপার্টি মার্কেটপ্লেস ‘বিক্রয় ডটকম’।
বিক্রয়ের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে একজন গ্রাহক তাঁর সুবিধামতো যেকোনো লোকেশন থেকে প্রপার্টি কেনাবেচা করতে পারেন। বিক্রয়ের ওয়েবসাইটে যে কেউ তাঁদের প্রপার্টি বিক্রি করতে চাইলে বিজ্ঞাপন পোস্ট করতে পারেন। আগ্রহী ক্রেতারা এই ওয়েবসাইটে হাজারো লিস্টেড প্রপার্টি থেকে তাঁদের পছন্দ বেছে নিতে পারেন। প্রপার্টি বেচাকেনার পদ্ধতিতে এই বিশাল পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে ‘বিক্রয়’-এর হাত ধরেই।
দেশের প্রপার্টি মার্কেট
বাংলাদেশের প্রপার্টি মার্কেট চাহিদা ও সুযোগের সঙ্গে সমৃদ্ধ হচ্ছে। তবে আর দশটা খাতের মতো আবাসন খাতও বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল। লকডাউনের কারণে কাঁচামালের অভাব, নির্মাণের সীমাবদ্ধতা ও গ্রাহকদের অভাব দেখা দিয়েছে। কিন্তু এত সব বাধা থাকা সত্ত্বেও এ খাতটি ধীরে ধীরে তার গতি ফিরে পেয়েছে।
বর্তমানে দেশের প্রপার্টি বাজারের বার্ষিক কেনাবেচার পরিমাণ আনুমানিক ৬০ হাজার কোটি টাকার মতো। নগরায়ণ ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্টের চাহিদাও অনেক বেড়েছে।
এখন বছরে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার ফ্ল্যাটের চাহিদা রয়েছে। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের প্রপার্টি মার্কেট কাঁচামালের স্বল্পতা, নির্মাণ খরচের মতো সব বাধা অতিক্রম করে বার্ষিক ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সাপেক্ষে যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
বিক্রয় প্রপার্টি সম্পর্কে...
পছন্দের প্রপার্টি কেনাবেচার জন্য শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস হচ্ছে বিক্রয় প্রপার্টি। আকার, লোকেশন ও মূল্য অনুসারে কেনা বা বিক্রির জন্য মানুষ এখানে বিভিন্ন ধরনের প্রপার্টি সার্চ করতে পারেন। দেশজুড়ে প্রপার্টি কেনাবেচায় ইচ্ছুক ক্রেতা-বিক্রেতারা বিনা মূল্যে বিজ্ঞাপন পোস্ট ও ব্রাউজ করেন। বিক্রয় প্রপার্টির ক্যাটাগরিতে মাসে প্রায় তিন লাখের বেশি গ্রাহক ভিজিট করে থাকেন। যেখানে ২০ হাজারের বেশি বিজ্ঞাপন পোস্ট হয় আর আগ্রহী প্রপার্টি ক্রেতা থাকে ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি। এই পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করা ডেভেলপারের সংখ্যা ২৫০ ছাড়িয়েছে এবং বিক্রেতার সংখ্যা ৩ হাজারের বেশি।
বিক্রয়ের তথ্য অনুসারে, এই প্ল্যাটফর্মের প্রতিটি বিজ্ঞাপনের বিপরীতে প্রায় ২০ জনের বেশি আগ্রহী ক্রেতা রয়েছেন। ক্রেতারা এখানে যেমন সফলভাবে তাঁদের পছন্দের প্রপার্টি খুঁজে পেয়েছেন, তেমনি বিক্রেতারাও প্রপার্টি বিক্রির ক্ষেত্রে পেয়েছেন সাফল্য। অনেক ডেভেলপার ও বিক্রেতারা বিক্রয় ডটকমের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তাঁদের বিভিন্ন রকম প্রপার্টি বিক্রি করেছেন। এনা প্রপার্টিজ লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট হোসেন আলী বলেন, ‘করোনা মহামারির সময় থেকে আমরা বিক্রয়ের সঙ্গে আমাদের যাত্রা শুরু করেছি এবং ভালো সাড়া পাচ্ছি।’
বিক্রয় প্রপার্টি তাদের সার্ভিসের মাধ্যমে ক্রেতা, বিক্রেতা, ডেভেলপার ও ভাড়াটে—সবাইকে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছে। বিক্রয় প্রপার্টি দেশের অন্যতম ক্রমবর্ধনশীল প্রপার্টি প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে একটি। সারা দেশে হাজারো বিক্রেতা যেমন এই পোর্টালে তাঁদের জমি, ফ্ল্যাট ও কমার্শিয়াল প্রপার্টি ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পেরেছেন, তেমনি লাখো ক্রেতা তাঁদের পছন্দের প্রপার্টি সম্পর্কে জানতে ও সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা পেয়েছেন। বিক্রয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঈশিতা শারমিন বলেন, ‘প্রপার্টি বরাবরই এ দেশে জনপ্রিয় একটি খাত। দেশের রিয়েল এস্টেট খাতে শুরু থেকেই বিক্রয় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে এসেছে। আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি ডিজিটালাইজেশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রপার্টি গ্রাহক ও বিক্রেতাদের জন্য নিত্যনতুন সার্ভিস নিয়ে আসার। আশা করি, সব সময়ের মতো গ্রাহকদের সহযোগিতা পেয়ে যাব।’
বিক্রয় প্রপার্টি যেভাবে কাজ করে
বিক্রয় প্রপার্টি পোর্টালে আগ্রহী ক্রেতারা পছন্দের লোকেশন, দাম ও সাইজ অনুযায়ী প্রপার্টি সার্চ করতে পারবেন। আর বিক্রেতারা প্রতিযোগিতামূলক ও বাস্তবসম্মত দামে প্রপার্টির লোকেশন, ছবি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য যোগ করে বিনা মূল্যে বিক্রয়ের বিজ্ঞাপন পোস্ট করতে পারবেন।
আগ্রহী ক্রেতা বা ভাড়াটেরা সহজেই লোকেশন, প্রপার্টির ধরন, আকার, বাজেট, প্রপার্টির বর্তমান অবস্থা ইত্যাদির বিভিন্ন ফিল্টার ব্যবহার করে তাঁদের পছন্দসই প্রপার্টি সার্চ করে খুঁজে পেতে পারেন। দাম সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার পর ক্রেতারা চাইলে চ্যাট অপশনের মাধ্যমে বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে আলোচনা করতে পারেন এবং সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। অতঃপর তাঁরা অনলাইনে বুকিং অথবা সরাসরি বিক্রেতার সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্যমে চুক্তি চূড়ান্ত করে থাকেন।
গ্রাহকদের আস্থার নাম বিক্রয় প্রপার্টি
নগরায়ণের হার বৃদ্ধির সঙ্গে বাংলাদেশের আবাসন শিল্প পরিবর্তন হয়েছে। ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট, কমার্শিয়াল স্পেস ও কন্ডোমিনিয়ামের মতো প্রপার্টির চাহিদা বেড়েছে। বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ২০২২ সালে ‘ফ্ল্যাট’ শব্দটি বিক্রয়ে প্রায় তিন লাখবার সার্চ করা হয়েছে এবং ‘ল্যান্ড’ সার্চ করা হয়েছে দুই লাখবার। বর্তমানে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে নির্মাণ খরচ বেড়েছে। এ কারণে নতুন ফ্ল্যাটের দাম ও ভাড়ার হারও বেড়েছে। বিক্রয় ওয়েবসাইটে ‘ব্যবহৃত ফ্ল্যাট’ শব্দটির এক লাখবার সার্চ হওয়া তারই প্রমাণ। একই সঙ্গে এই সাইটে ‘ফ্ল্যাট ভাড়া’ ৯০ হাজারবার এবং ‘বাড়ি’ সার্চ করা হয়েছে ৮০ হাজারবার।
শেষ কথা
সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশের প্রপার্টি ল্যান্ডস্কেপে বিক্রয়ের ভূমিকা অপরিহার্য। মাত্র এক দশক আগেও পছন্দের লোকেশনে ভালো দামের মধ্যে পছন্দের একটি প্রপার্টি খুঁজে পাওয়া ছিল কঠিন। তবে প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রা এবং কেনাবেচার অভ্যাস পরিবর্তিত হয়েছে। গত এক দশক ধরে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে মানুষের জীবন এবং বিনিয়োগকে সহজতর করতে বিক্রয় সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিক্রয়ের ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস বিক্রেতা এবং ক্রেতা উভয়ের জন্য একটি ওয়ান স্টপ সল্যুশন। তাই দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে প্রপার্টি কেনাবেচা করতে ঘুরে আসুন বিক্রয়ের ঠিকানায়।