ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ৩০ লাখ ইউরোর ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়েছে। এটি শ্রমিকদের দক্ষতার ঘাটতি মোকাবিলা করবে, অভিবাসন খরচ কমাবে, বাংলাদেশে শ্রম অভিবাসনে ইচ্ছুক জনগোষ্ঠীর জন্য সুযোগ বাড়াবে, যাতে ইইউ শ্রমবাজারের জন্য দক্ষ কর্মী সরবরাহ করবে। গতকাল বুধবার ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (মোইওই) এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) তিন বছরে ২০২৪-২৭ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ আইনি অভিবাসনের পথ ও অনিয়মিত অভিবাসন কমানোর ওপর জোর দিয়ে প্রকল্পটি ইইউ সদস্যরাষ্ট্রগুলোর শ্রমবাজারে বিভিন্ন খাতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অনুযায়ী শ্রম অভিবাসনের জন্য তাঁদের দক্ষতার মান অনুযায়ী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। ৭৪ লাখের বেশি বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক প্রতি মাসে ২০০ কোটি ইউরো রেমিট্যান্স পাঠান।
প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলো ইইউতে কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা পূরণের জন্য তিন হাজার কর্মীকে প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কাজ করবে।
এ ছাড়া প্রকল্পটি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের (মোইওই) অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে চাকরি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত করে তুলবে। দক্ষ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগে এ উদ্যোগগুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
সম্ভাব্য বিদেশি কর্মীরা যে চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মুখীন হন, তা মোকাবিলার গুরুত্ব স্বীকার করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, এ প্রকল্পটি কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং যা বাংলাদেশের জন্য রেমিট্যান্স বাড়াবে।
আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন দক্ষতা উন্নয়নের ওপর প্রভাবকে গুরুত্ব দিয়ে বলেন যে এটি ‘প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়ন’ এবং ‘ন্যায্য নিয়োগ’কে সহজতর করার লক্ষ্যে কাজ করবে।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এবং প্রধান প্রতিনিধি মাইকেল মিলার বলেন, ‘ইইউ-বাংলাদেশ ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসন নিশ্চিত করবে অভিবাসী শ্রমিক মানবাধিকার ও সম্মান। আইনি অভিবাসনের পথ তৈরির পাশাপাশি আমাদের অনিয়মিত অভিবাসন শেষ করতে এবং পাচার ও শোষণের দুর্ভোগ মোকাবিলা করতে কাজ বাড়াতে হবে।’