সুস্থ জীবনযাপনের প্রথম শর্ত স্বাস্থ্যকর খাবার। আর এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রান্নার তেল। রান্নার স্বাস্থ্যকর তেলগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যানোলা তেল, সানফ্লাওয়ার তেল, রাইস ব্র্যান তেল ইত্যাদি। গবেষণায় দেখা গেছে, এসব তেলের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘ক্যানোলা তেল’। বর্তমানে এটি বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদিত উদ্ভিজ্জ তেল।
১৯৭৪ সালে কানাডায় সর্বপ্রথম উৎপাদন করা হয় ক্যানোলা তেল। এই তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে প্রধান হলো চীন, কানাডা, ভারত ও জাপান। ক্যানোলা তেলের রয়েছে বেশ কিছু উপকারী বৈশিষ্ট্য, যা স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অন্যান্য রান্নার তেলের তুলনায় ক্যানোলা তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ সবচেয়ে কম। মাত্র ৭ শতাংশ স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকার কারণে এই তেল হার্টের জন্য ভালো।
সম্পূর্ণ কোলেস্টেরল–ফ্রি হওয়ার কারণে এই তেল ডায়াবেটিস ও ওবেসিটির রোগীদের জন্য উপকারী।
ক্যানোলা তেলে আছে ওমেগা-৩ ও ৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের পারফেক্ট ব্যালেন্স (১: ২), তাই শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে না।
আছে ভিটামিন ই কম্পাউন্ডের শক্তিশালী অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৬৪ শতাংশ মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড পেটের মেদ কমাতে কার্যকর।
হাই স্মোক পয়েন্টের কারণে এই তেল ভাজাপোড়ার জন্য ভালো। খাবারকে মচমচে করে ভাজার জন্য এই তেলের জুড়ি নেই।
অন্যান্য রান্নার তেল খাবারের স্বাদ পরিবর্তন করে ফেলে কিন্তু ক্যানোলা তেলে খাবারের স্বাদের কোনো পরিবর্তন হয় না। বিশ্বব্যাপী ক্যানোলা তেলের জনপ্রিয়তার এটি একটি অন্যতম কারণ।
চুলের যত্নে ক্যানোলা তেল প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। শুষ্ক, রুক্ষ ও ভাঙা চুলের যত্নে এই তেল অত্যন্ত কার্যকর।
কোনো ট্রান্স-ফ্যাট না থাকায় রান্নার স্বাস্থ্যকর তেলের মধ্যে ক্যানোলা তেল অন্যতম। বহুমুখী ও সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে ক্যানোলা তেল ঘরে এবং বাণিজ্যিকভাবে স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরির জন্য আদর্শ।