গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়া ইপিজেড লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শন করেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম সামোই রুটো। স্থানীয় শিল্প ও স্বাস্থ্য খাত এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উন্নয়নে এই সফর বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়া ইপিজেড লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক অঞ্জন কুমার দাসের উষ্ণ অভ্যর্থনার মাধ্যমে শুরু হয় প্রেসিডেন্টের সফর। কেনিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন দেশটির উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা।
তাঁদের মধ্যে ছিলেন কেনিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুসান ওয়াফুলা নাখুমিচা, শিল্প বাণিজ্য ও বিনিয়োগমন্ত্রী রেবেকা মিয়ান, চিকিৎসাসেবা মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত সচিব হেরি কিমটাই, সংসদ সদস্য মিসেস এলিজাবেথ কাইলেমিয়া, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়া ইপিজেড লিমিটেডের পরিচালক ড. ইরুকি কাইলেমিয়া, চিফ ফার্মাসিস্ট ড. মারেতে এনজোকা এবং কেনিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মুহাম্মদ।
প্রেসিডেন্ট রুটো তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কেনিয়া স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং অন্য ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলোকে কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে পূর্ব আফ্রিকার প্রায় চার কোটি মানুষকে সেবা দেওয়ার এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়া ইপিজেডের অত্যাধুনিক কারখানা ঘুরে দেখেন এবং কর্মীদের নিষ্ঠা ও একাগ্রতার প্রশংসা করেন। এ সময় স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের উৎপাদনসংক্রান্ত পানি, বিদ্যুৎ যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ হয়, সে ব্যাপারে উপস্থিত মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের নির্দেশ দেন। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের পূর্ব আফ্রিকাতে রপ্তানিতেও যেসব সাহায্য প্রয়োজন, সেদিকেও বিশেষ খেয়াল রাখতেও মন্ত্রিপরিষদকে নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট।
২০১৮ সালে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়া ইপিজেড প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে নির্মাণকাজের গতি কমে গেলেও পরবর্তী সময়ে দ্রুত কারখানার নির্মাণ শেষ হয়। ২০২১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এই কারখানায় উৎপাদিত ওষুধ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।