বর্ণিল ডিজাইনের নান্দনিক সব ফার্নিচার নিয়ে পাবনায় যাত্রা শুরু করল দেশের সুপরিচিত নাভানা ফার্নিচার। গত বৃহস্পতিবার পাবনা শহরের শিবরামপুরের আতাইকুলা রোডে (বগা মিয়ার বাড়ির পাশে) শোরুমটি উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নাভানা ফার্নিচারের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ইয়ামিন রিখু। বিশেষ অতিথি ছিলেন হেড অব সেলস মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান তালুকদার এবং হেড অব ডিলার অপারেশন মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এ ছাড়া নাভানা ফার্নিচারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নাভানা ফার্নিচারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং ব্যাপ্তি অনেক প্রশস্ত এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ইয়ামিন রিখু। তিনি বলেন, নাভানা বাংলাদেশের একটি বৃহৎ গ্রুপ অব কোম্পানি। ২৭টি অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে নাভানা গ্রুপ গঠিত। এর মধ্যে অন্যতম নাভানা ফার্নিচার লিমিটেড। যাত্রার শুরু থেকেই নাভানা ফার্নিচারের পণ্যের প্রতি গ্রাহকদের আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। আর তাই গ্রাহকদের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অপরিহার্য হয়ে ওঠে উৎপাদনক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এই প্রয়োজন মেটাতে সাভারের রাজ ফুলবাড়িয়ায় স্থাপিত হয়েছে সুবিশাল স্থাপনা, যেখানে কাজ করছে প্রকৌশলী ও সুদক্ষ কারিগরদের সমন্বয়ে একদল দক্ষ শ্রমিক। আমদানি করা কাঁচামাল, সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় কর্মপদ্ধতি ও সুদক্ষ কারিগরের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গ্রাহকের সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে নাভানা ফার্নিচার পেরিয়ে এসেছে সাফল্যের ২০টি বছর।
ইয়ামিন রিখু বলেন, নাভানা ফার্নিচার বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালি আসবাব, যেমন বেডরুম সেট, সোফা সেট, ডাইনিং সেট, কিচেন কেবিনেট; নিত্যনতুন ডিজাইনের কাঠের দরজাসহ অফিস ফার্নিচার, যেমন টেবিল, চেয়ার, আলমারি, ড্রয়ার, কেবিনেট, ওয়ার্ক স্টেশন ইত্যাদি পণ্য উৎপাদন করছে। পাশাপাশি নাভানা ফার্নিচারের পণ্যতালিকাকে আরও সমৃদ্ধ করে চলছে মানসম্মত হসপিটাল ফার্নিচার ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্নিচার।
‘এন্ডলেস অপরচুনিটি’ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে এগিয়ে চলছে নাভানা ফার্নিচার, জানিয়ে ইয়ামিন রিখু বলেন, ‘আমাদের রয়েছে পরিবেশবান্ধব ‘‘প্রেসারাইজড ট্রিটমেন্ট সোলার ক্লিন”সমৃদ্ধ সিজনিং প্ল্যান্ট। নাভানার তৈরি করা কাঠের ফার্নিচারে ঘুণে ধরে না, বেঁকে যায় না এবং ল্যাকার ফিনিশিং নষ্ট হয় না। ফলে ব্র্যান্ড ফার্নিচার হিসেবে বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে আনার পাশাপাশি অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে নাভানা ফার্নিচার।’