চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৩৮ কোটি ৯ লাখ টাকা মুনাফা করেছে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা। এ সময়ে তাদের রাজস্ব আয় বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তৃতীয় প্রান্তিকের ফলাফল প্রকাশ করে রবি। প্রতিষ্ঠানটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে রবি ১১৬ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। ন্যূনতম ২ শতাংশ লেনদেন কর বা টার্নওভার ট্যাক্স না থাকলে মুনাফার চিত্র আরও ইতিবাচক হতো। আলোচ্য সময়ে রবির মোট রাজস্বের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে তুলনায় ১ শতাংশ বেশি। সর্বশেষ প্রান্তিকে রবির রাজস্ব ৯ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে।
রবি জানিয়েছে, তাদের সক্রিয় গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ১ লাখ, যা দেশের মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ৩০ শতাংশ। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে সক্রিয় গ্রাহকসংখ্যা সাড়ে ৪ শতাংশ বেড়েছে। দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর মধ্যে এ হার সর্বোচ্চ বলে দাবি রবির। রবি আরও জানায়, তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৭ লাখ, যা মোট গ্রাহকের ৬৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত প্রান্তিকের তুলনায় সর্বশেষ প্রান্তিকে ভয়েস কল থেকে রবির রাজস্ব আয় প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে, যা পরিমাণের দিক দিয়ে ৯৭২ কোটি টাকা। তবে গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় এ খাতে রাজস্ব প্রায় ৮ শতাংশ কমেছে। রবি বলছে, করোনা মহামারির কারণে ভয়েস কল সেবায় নেতিবাচক প্রভাবই এর কারণ। আলোচ্য সময়ে গত বছরের চেয়ে ইন্টারনেট থেকে রাজস্ব আয় ২২ শতাংশ বেড়েছে বলে জানায় রবি। তৃতীয় প্রান্তিকে রবি সরকারের কোষাগারে জমা দিয়েছে ৮৭৫ কোটি টাকা, যা মোট রাজস্বের প্রায় ৪৫ শতাংশ।
রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শেয়ারবাজারে প্রবেশের আগে লক্ষণীয় হারে রাজস্ব বৃদ্ধি ও মুনাফা নিশ্চিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। তবে উচ্চ করহার আমাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেই চলেছে, বিশেষ করে ন্যূনতম ২ শতাংশ লেনদেন কর। আমরা আশা করি সরকার এ পরিস্থিতি পরিবর্তনে কার্যকর উদ্যোগ নেবে।’