ভারতের সুপরিচিত শিক্ষা ও প্রযুক্তিবিষয়ক কোম্পানি বাইজুসকে দেউলিয়া ঘোষণা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বাইজুসের কাছে প্রায় ১ কোটি ৯০ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পায় এবং সেই অর্থ পরিশোধে বাইজুসের ব্যর্থতার কারণেই ভারতের একটি ট্রাইব্যুনাল আজ মঙ্গলবার এই আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, করোনা মহামারির সময় অনলাইনে বাইজুসের শিক্ষাপণ্যের চাহিদা তুঙ্গে উঠেছিল। কিন্তু লকডাউনের পর শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরার পর বাইজুস রীতিমতো মাটিতে আছড়ে পড়ে।
ভারতের সবচেয়ে আলোচিত স্টার্টআপ ছিল বাইজুস। একসময় এটির মূল্যমান নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলার। কিন্তু কোভিড মহামারির পর এখন পর্যন্ত এটি তার মূল্যের ৯০ শতাংশই হারিয়েছে। দেউলিয়া ঘোষণা করার প্রক্রিয়া শুরু করতে ভারতীয় আদালতের সিদ্ধান্ত বাইজুসের প্রতি সর্বশেষ আঘাত।
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বা বিসিসিআই জানিয়েছে, বাইজুসের কাছে তাদের ১৬৯ কোটি রুপি পাওয়া রয়েছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি স্পনসর করার খরচ হিসেবে বাইজুস এই অর্থ দেওয়ার কথা।
বোর্ডের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ব্যাঙ্গালুরুতে অবস্থিত ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হলে আদালত সেটি গ্রহণ করেন। এরপর একজন প্রশাসক নিয়োগ করে বাইজুসের দেউলিয়া ঘোষণার বিষয়টি দেখভাল করার নির্দেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের আদেশে বলা হয়েছে, দেনার অস্তিত্ব ও সেই দেনা পরিশোধে ব্যর্থতার বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বোঝা গেছে।
বাইজুসের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন যে তারা বিসিসিআইয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘যেমনটা আগেই বলেছি, আমরা বিসিসিআইয়ের সঙ্গে একটি সৌহার্দপূর্ণ সমঝোতায় আসতে চাই। আদালতের এই আদেশের পরও আমরা আশাবাদী যে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো যাবে।’
ওই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমাদের আইনজীবীরা এখন আদেশটি পর্যালোচনা করে দেখছেন এবং কোম্পানির স্বার্থ রক্ষার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’