প্রথম আলো পত্রিকায় গত ৩০ জুন প্রকাশিত ‘শরিয়াহভিত্তিক ৬ ব্যাংকের অবস্থা এখন আরও খারাপ’ শীর্ষক সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। ব্যাংকটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, শরিয়াহভিত্তিক ৬ ব্যাংকের বিষয়ে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা ইসলামি ব্যাংকিং ধারাকে জনগণের মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি অপপ্রয়াস। দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে সর্বোচ্চ আমানত নিয়ে ইসলামী ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করেই বিনিয়োগ করেছে।
ব্যাংকটি বলেছে, ইসলামি ব্যাংকগুলো আগ্রাসী ঋণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে উল্লেখ করে যে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অনুমাননির্ভর। ইসলামী ব্যাংক সম্প্রতি বড় ধরনের কোনো বিনিয়োগ বিতরণ করেনি। ব্যাংকের বিতরণকৃত বিনিয়োগের বেশির ভাগই কৃষি, ক্ষুদ্র ও এসএমই বিনিয়োগ। ইসলামী ব্যাংকের এসএমই বিনিয়োগের পরিমাণ মোট বিতরণ করা বিনিয়োগের ২৩ শতাংশ এবং দেশের মোট এসএমই বিনিয়োগের ১১ শতাংশ। কৃষিক্ষেত্রে রয়েছে ইসলামী ব্যাংকের মোট বিনিয়োগের প্রায় ২ শতাংশ, যার বাজার অংশীদার ৭ দশমিক ১০ শতাংশ।
জনবল নিয়োগ নিয়ে ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়েছে, জনবল নিয়োগের বিষয়ে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, তা–ও সঠিক নয়। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রবেশনারি অফিসার ও ফিল্ড অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। ব্যাংক চাহিদা অনুযায়ী সময়-সময় মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার নিয়ম অনুসরণ করেই জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে।
এতে বলা হয়, ‘আমরা এ সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আশা করি, প্রথম আলোর মতো দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা ইসলামি ব্যাংকিংয়ের মতো একটি ক্রমবর্ধমান ও আস্থাশীল ধারার বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।’
প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রতিবেদনে ইসলামি ধারার ছয় ব্যাংক নিয়ে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের সূত্র ধরে লেখা হয়েছে। জনবল নিয়োগের বিষয়টিও ওই প্রতিবেদনে রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকভিত্তিক চলতি হিসাবের ঘাটতির তথ্য দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদন থেকে। প্রতিবেদনের কোথাও কোনো ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। তবে ওই ছয় ব্যাংকের পক্ষ হয়ে ইসলামী ব্যাংক কেন একা প্রতিবাদ দিয়েছে, তা বোধগম্য হচ্ছে না।