চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত এমডির পদত্যাগের প্রসঙ্গে প্রথম আলোয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক বা এসআইবিএল। ব্যাংকটি বলেছে, তাঁদের পদত্যাগের বিষয়টি একান্তই ব্যক্তিগত ও নিজস্ব সিদ্ধান্ত। চেয়ারম্যান মো. মাহবুব উল আলম পদত্যাগপত্রে তাঁর পারিবারিক সমস্যার কথা বলে পরিচালনা পর্ষদের কাছে অব্যাহতি চেয়েছেন। পদত্যাগপত্রে তিনি পরিবারে ঘটে যাওয়া নানা দুর্ঘটনার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি দুইবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় শারীরিকভাবে নানা সমস্যায় ভুগছেন বলেও পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন।
এ ছাড়া অতিরিক্ত এমডি আবু রেজা মো. ইয়াহিয়ার নিয়োগটি ছিল চুক্তিভিত্তিক। তিনি করোনায় আক্রান্ত ও পরবর্তী সময়ে শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কারণে চুক্তিভিত্তিক চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। পরে পরিচালনা পর্ষদের সভায় তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়।
প্রকাশিত সংবাদে অন্যান্য বিষয় অবতারণা করে যা বলা হয়েছে, তা একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক ও যুক্তিযুক্ত নয়। এসআইবিএলের খেলাপি বিনিয়োগের বিষয়ে উল্লিখিত তথ্যও বস্তুনিষ্ঠ নয়। প্রতিবেদনে উল্লিখিত মালিকানা পরিবর্তনের পর সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ খেলাপি হওয়ার তথ্যটি সত্য নয়; বরং যেসব বিনিয়োগ খেলাপি ছিল, তা থেকে প্রায় ৩ হাজার ৭৭১ কোটি টাকা আদায় ও নিয়মিত করা হয়েছে। অবশিষ্ট খেলাপি বিনিয়োগ আদায়ে পদক্ষেপ জোরদার করা হয়েছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: ব্যাংকটির খেলাপি–সংক্রান্ত তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত। এসব প্রতিবেদন ইতিমধ্যে ব্যাংকটিতেও পাঠানো হয়েছে। ব্যাংকটি এসব বিনিয়োগ থেকে আদায় করেছে বলে ব্যাখ্যাতেও উল্লেখ করেছে। এ ছাড়া মালিকানা পরিবর্তিত হওয়ায় ব্যাংকটিতে কয়েক বছরে বেশ কিছু ঋণ অনিয়মের ঘটনাও ঘটে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন প্রতিবেদনে এসব অনিয়মের ঘটনা উঠে এসেছে। সেসব তথ্যই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।