বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কাজ। এ জন্য কোনো টাকা ছাপানো হচ্ছে না। শুধু পোশাকশ্রমিকদের বেতন দিতে এক হাজার কোটি টাকা ছাপানো হয়েছে। রিজার্ভ থেকেও ডলার বিক্রি করা হচ্ছে না। খোলাবাজারে ডলারের দাম ব্যাংকের চেয়ে কমে গেছে। এভাবে চললে বিনিময় হার স্থিতিশীল হয়ে যাবে। এতে মূল্যস্ফীতি কমবে।
গভর্নর বলেন, ‘এখন যেসব ব্যাংকের টাকার প্রয়োজন হচ্ছে, তা না ছাপিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে জোগান দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। মানুষের ক্ষোভ ও কষ্ট কমাতে পারলে, সেটি বড় অর্জন হবে। টাকা ছাপিয়ে সাময়িক স্বস্তি মিললেও সমস্যার সমাধান হবে না। মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে। এ জন্য আমরা টাকা না ছাপানো ও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
প্রথম আলো আয়োজিত ‘ব্যাংক খাতকে কোথায় দেখতে চাই’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার এ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ব্যাংক খাত থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ধার নেওয়ার সরকারি পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা এটাকে ৮০-৮৫ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনতে বলেছি। ফলে বেসরকারি খাত অতিরিক্ত ৫০ হাজার কোটি টাকা ঋণ পাবে।’
দুর্বল ব্যাংককে তারল্যে দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি সুবিধা দেওয়া প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, দুর্বল একটি ব্যাংক কত টাকার আর্থিক সুবিধা পাবে, তা তাদের আর্থিক অবস্থা দেখে নির্ধারণ করা হচ্ছে। গ্যারান্টি দিলেও পুরো টাকা একবারে দেওয়া হবে না। এসব ব্যাংক বাজার থেকে টাকা ধার নিতে ব্যর্থ হওয়ায় একধরনের হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এতে সমস্যা হলে অন্য কোনো মডেল অনুসরণ করা হবে। বন্ড ছেড়ে অন্য ব্যাংক থেকে টাকা নেওয়া যেতে পারে অথবা দুটোই একসঙ্গে চলতে পারে।